কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ তারেক পারভেজের বিরুদ্ধে মাদক মামলার এক আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে ঘুষ দাবি, শারীরিক নির্যাতন ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখানোর অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিলে গত ২৮ জানুয়ারি তা আদালতে দাখিল করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঢাকা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুনাইদের আদালত তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নেন এবং অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।
আদালত জানায়, আসামি মো. সাব্বিরকে রিমান্ডে নিয়ে এসআই তারেক ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন এবং তার পরিবারকে ফোনে ভয়ভীতি দেখান। এসব অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে ফোনালাপের রেকর্ডসহ একটি পেনড্রাইভ আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।
আদালতের আদেশে বলা হয়, গত ৮ ডিসেম্বর আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে আসামিকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে এবং ঘুষ দাবি করা হয়েছে, যা আদালতের অবমাননার শামিল।
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার তার প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করলেও এসআই তারেকের বিরুদ্ধে কী ধরনের বিভাগীয় বা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে কিছু উল্লেখ করেননি। বিষয়টি নিয়ে আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
এছাড়া আদালত পুলিশ সুপারকে আগামী ২০ মে’র মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন— কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অন্যথায় আদালতের আদেশ অমান্য করার দায়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করেন আদালত।