পোল্যান্ডের পার্লামেন্ট দেশটির পূর্ব সীমান্ত দিয়ে বেলারুশ হয়ে প্রবেশ করা অভিবাসীদের আশ্রয় চাওয়ার অধিকার সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে। গত ২০ মে পার্লামেন্টে এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন ৩৬৬ জন সদস্য, বিপক্ষে ভোট পড়ে মাত্র ১৭টি।
চলতি বছরের মার্চে প্রথমবার চালু হওয়া এই নিয়ম এখন ৬০ দিন মেয়াদে নবায়নযোগ্যভাবে কার্যকর রয়েছে। পোলিশ সরকার জানিয়েছে, রাশিয়া ও বেলারুশ ‘হাইব্রিড আক্রমণের’ অংশ হিসেবে বিদেশি নাগরিকদের সীমান্ত পাড়ি দিতে উৎসাহিত করছে, যার লক্ষ্য ইউরোপকে অস্থিতিশীল করা।
পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টুস্ক এই অভিবাসন প্রবাহকে “গুরুতর নিরাপত্তা ঝুঁকি” হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, কঠোর পদক্ষেপই একমাত্র সমাধান।
তবে নতুন আইনে কিছু ব্যতিক্রম রাখা হয়েছে। সন্তানসম্ভবা নারী, গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তি, অনাথ শিশু ও পরিবারের সঙ্গে থাকা অপ্রাপ্তবয়স্করা এ নিয়মের আওতার বাইরে থাকবেন। পাশাপাশি, যারা বেলারুশে ফেরত গেলে গুরুতর ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে, তারাও আশ্রয় চাওয়ার সুযোগ পাবেন।
তবে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ একাধিক মানবাধিকার সংগঠন এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে। তারা বলছে, এটি আন্তর্জাতিক ও ইউরোপীয় আশ্রয় আইনের লঙ্ঘন এবং বেআইনি পুশব্যাককে বৈধতা দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি করছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর আগেই সতর্ক করেছিল যে প্রস্তাবিত আইন আন্তর্জাতিক নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, তারা নিরাপত্তার দিক বিবেচনায় বিষয়টি মূল্যায়ন করবে, তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়নকে পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।