টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। প্রয়াত সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেনের বাড়ি একসময় রাজনৈতিক কেন্দ্রবিন্দু হলেও এখন তা জনমানবশূন্য। তাঁর ছেলে ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। ফলে একাব্বর হোসেনের বাড়িসহ এলাকার শীর্ষ আওয়ামী নেতাদের বাড়িগুলো এখন ফাঁকা।
২০২২ সালে উপনির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন খান আহমেদ শুভ। তিনি সৈয়দ টাওয়ারের একটি ফ্ল্যাট থেকে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালালেও বর্তমানে তাকেও দেখা যাচ্ছে না। একই অবস্থা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ, সাবেক মেয়র সাহাদত হোসেন সুমন, মেজর (অব.) খন্দকার আব্দুল হাফিজসহ অন্য নেতাদের ক্ষেত্রেও।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই উপজেলার দলীয় কার্যালয়গুলো বন্ধ, নেতাকর্মীরা গা-ঢাকা দিয়ে আছেন। শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ রাসেলের নাম যুক্ত বিভিন্ন স্থাপনাও হামলার শিকার হয়েছে।
অন্যদিকে, মাঠে সরব হয়ে উঠেছে বিএনপি ও জামায়াত। সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাইদুর রহমান সাঈদ সোহরাব এবং জামায়াতের অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল্লাহ তালুকদার নিয়মিত উঠান বৈঠক, সভা-সমাবেশ, সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। প্রতিদিন শত শত নেতাকর্মী তাদের বাড়িতে আসছেন, যোগাযোগ রাখছেন এবং পরামর্শ নিচ্ছেন।
নির্বাচনের মাঠে এখন বিএনপি ও জামায়াতের উপস্থিতিই বেশি, আর আওয়ামী লীগ নেতাদের নেই কোনো দৃশ্যমান তৎপরতা। রাজনীতির গতিপথ বদলাতে শুরু করেছে টাঙ্গাইল-৭ আসনের চিত্র।