টাঙ্গাইল শহরের মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান আদর্শ কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে কুমিল্লার বাসিন্দা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নজরুল ইসলামকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ের জামাতা। এ নিয়োগকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইলের রাজনৈতিক, সামাজিক এবং শিক্ষামহলে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।
সচেতন মহলের প্রশ্ন—টাঙ্গাইলের একজন বাসিন্দা নয়, কিভাবে কুমিল্লার একজন ব্যক্তি এ জেলার একটি শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্ব পান?
কলেজ সূত্র জানায়, কলেজ গভর্নিং বডি গঠনের জন্য ৩০ এপ্রিল তফসিল ঘোষণার পর ধারাবাহিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ১৮ মে ভোটগ্রহণ হয়। এরপর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক মো. আব্দুল হাই সিদ্দিক সরকার ২৩ জুন অধ্যাপক নজরুল ইসলামকে সভাপতি ও মো. শফিকুল ইসলামকে বিদ্যোৎসাহী সদস্য মনোনীত করে চিঠি পাঠান।
জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব এমএ বাতেন বলেন, “টাঙ্গাইলের কলেজে টাঙ্গাইলেরই কাউকে সভাপতি করা উচিত ছিল। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বার্থে কাজ করাটা সহজ হতো।”
জেলা বিএনপির সভাপতি ও কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি প্রার্থী হাসানুজ্জামীল শাহীন বলেন, “নজরুল ইসলামের বাড়ি কুমিল্লায়। তিনি টাঙ্গাইলের বাসিন্দা নন, বরং তার শ্বশুর এখানকার রাজনৈতিক নেতা। এটা স্পষ্টতই ক্ষমতার অপব্যবহার। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।”
তিনি আরও দাবি করেন, “টাঙ্গাইলের উপযুক্ত কাউকে সভাপতি না করলে স্থানীয়রা এর প্রতিবাদ জানাবে।”
কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম জানান, “আমরা অধ্যাপক নজরুল ইসলামকে চিনি না। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পূর্বে দুইবার তাকে এডহক কমিটির সভাপতি করেছিলেন। এবারও আমরা তার নাম প্রস্তাব করিনি। আমরা সভাপতি ও বিদ্যোৎসাহী সদস্য পদের জন্য তিনজন করে প্রার্থীর নাম পাঠিয়েছিলাম।”
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক মো. আব্দুল হাই সিদ্দিক সরকারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
You said: