টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পূর্ব বিরোধের জের ধরে মসজিদ কমিটির ক্যাশিয়ার তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলেসহ ৬ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে মাথায় গুরুতর জখম আলম মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উপজেলার লতিপুর ইউনিয়নের ছলিমনগর নামাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে আলমের বড় ভাই আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে মির্জাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান জানান, আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের ছলিমনগর নামাপাড়া গ্রামে মা আয়েশা জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ওই গ্রামের মো চাঁন মিয়া (৬০) কমিটির ক্যাশিয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গত রমজান মাসে কমিটির সিদ্ধান্তে মসজিদে রোজাদারদের সারা মাস ইফতারির আয়োজন করা হয়। শেষে কিছু টাকা অতিরিক্ত হলে ত্রিশ রোজায় মুসুল্লিদের খিচুরি রান্না করে খাওয়ানো সিদ্ধান্ত নেয় কমিটি। সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ২৪ মে সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে সাতটার দিকে মসজিদের পশ্চিমপাশে জনৈক সবুজ মিয়ার মুদি দোকানের সামনে খিচুরি রান্না শুরু হলে পূর্ব বিরোধের জের ধরে একই গ্রামের হাকিম মিয়া (৩৫), আল আমিন (২৫), জুয়েল মিয়া (২৫), কালাম মিয়া (২২), ফারুক মিয়া (২৩), লিপু মিয়া (৩০) ও বদর উদ্দিন (৫০) সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জন রাত আটটার দিকে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ নিয়ে ক্যাশিয়ার চাঁন মিয়াকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। কারণ জানতে চাইলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তার উপর হামলা চালায়।
এ সময় ক্যাশিয়ার চাঁন মিয়ার আর্তচিৎকারে তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম, আনোয়ার হোসেন ও মো. আলম মিয়া, আলমের স্ত্রী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা জহুরা বেগম এবং চাঁন মিয়ার ভাতিজা জাহাঙ্গীর ও শাকিল এগিয়ে আসলে তারা তাদেরও মারপিট করে। এ সময় আসামিদের আঘাতে চাঁন মিয়ার ছেলে আলম মাটিতে পড়ে গেলে আসামি হাকিম মিয়া রাম দা দিয়ে মাথায় কুপ দিলে গুরুতর জখম হয়। এ সময় তারা আনোয়ারা বেগমের শ্লীলতাহানীর চেষ্টাও করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে গুরুতর আহত আলমসহ অন্যদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন আলমের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
এদিকে ঘটনার পর আলমের বড় ভাই আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে সাত জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনকে আসামী করে মির্জাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।