নিজস্ব প্রতিবেদক : ধর্ষণ নির্মূল করতে হলে রাষ্ট্রের ক্ষমতার যে অপব্যবহার এবং যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি রয়েছে তার আমূল পরিবর্তন দরকার।
ধর্ষণের সাথে রাজনৈতিক ক্ষমতা ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি জড়িত।
আমাদের দেশে আজ ধর্ষকদের বিচারের আওতায় আনা হয় না বলেই ধর্ষকরা ধর্ষণ করার মত সাহস পায়।
আর ধর্ষকরা বেশিরভাগ ক্ষমতাসীনদের ছত্র ছায়ায় লালিত পালিত হয় বলেই ক্ষমতার বলে ধর্ষকদের বিচার হয় না।
তরুণ চিন্তক ও সংগঠক আশরাফুল আলম সোহেল কথাগুলো বলেছেন।
“ধর্ষণের মনস্তত্ত্ব” বিষয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি প্রধান আলোচকের বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বুধবার (০৪ নভেম্বর) টাংগাইল পৌর উদ্যানে “নারী-শিশু ধর্ষণ ও নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ” এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, টাংগাইলে ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে টানা ১০ দিন অবস্থান কর্মসূচি পালনকারী ফাতেমা রহমান বীথি। তিনি বলেন, যতদিন না পর্যন্ত পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন না হবে এবং নারীদেরকে কেবল নারী হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবে ভাবা না হবে ততদিন নারীরা ধর্ষিত ও নিপীড়িত হতেই থাকবে। তাই আমাদের উচিত, নিজেদের নিরাপত্তা নিজেদেরকেই নিশ্চিত করা। নিজেদের নিরাপত্তার জন্য তরুণ সমাজকেই প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে তোলা ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারী-শিশু ধর্ষণ ও নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের সদস্য নাজমুল হোসেন, মাহমুদা, নূহা, ইপ্তি, স্বপ্নীল, ফয়সাল, সিয়াম, মিনারুল, আকাশ, রানা, এনাদী খান আদি। সম্পাদনা – অলক কুমার