শিক্ষক ও বিএনপি নেতা মোশারফ আহমেদ ঠাকুর বলেছেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে হলে বিদেশি শক্তির দিকে তাকিয়ে না থেকে জনগণের শক্তির ওপরই নির্ভর করতে হবে। তিনি বলেন, চায়নার সঙ্গে বিএনপির দীর্ঘ সুসম্পর্ক থাকলেও গণতন্ত্র চর্চায় চায়নার দিকেই তাকানোর তেমন কিছু নেই।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাতে এক বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে তিনি এসব কথা বলেন।
মোশারফ আহমেদ ঠাকুর বলেন, “শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময়ে চায়নার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। চায়না থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই তিনি বাংলাদেশের কৃষি ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনেন। চায়নার ইতিবাচক দিক হলো তারা ব্যবসা-বাণিজ্যে আগ্রহী, অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ খুব একটা করে না।”
তিনি বলেন, “২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির ক্ষমতার সময় চায়না কমিউনিস্ট পার্টি বিএনপিকে তাদের ‘সিস্টার পার্টি’ হিসেবে দেখত। তবে আওয়ামী স্বৈরাচারের সময়ে চায়না ভারতের পরই এ দেশের বিতর্কিত নির্বাচন ও অবৈধ শাসনকে সমর্থন দিয়েছে।”
মোশারফ আহমেদ আরও বলেন, “গণতন্ত্র রক্ষায় বিদেশি শক্তির ওপর ভরসা করে লাভ নেই। এ জন্য নিজেদের শক্তির ওপরই দাঁড়াতে হবে। এ দেশের বহু তরুণ-তরুণী জীবনের বিনিময়ে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়েছে। গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে হলে জনগণের অধিকার সচেতনতা ও দায়িত্ববোধই মুখ্য।”
তিনি বলেন, “কাতার, সৌদি আরব, ইরানের মতো দেশে গণতান্ত্রিক অধিকার নেই। অথচ অনেকে গণতন্ত্রের লেবাস পরে ক্ষমতায় গিয়ে জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে চায়। গণতন্ত্র মানে ক্ষমতায় গিয়ে শাসনতন্ত্র পাল্টে ফেলা নয়।”
সবশেষে তিনি বলেন, “গণতন্ত্রের সুবিধা নিয়ে ভোটের মাধ্যমে গণতন্ত্র বাতিলের রাজনীতি এক ধরনের মুনাফিকি। গণতন্ত্র রক্ষায় সবার আগে প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে—যে কোনো পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক অধিকার অক্ষুণ্ণ রাখা হবে।”