টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের উত্তর রাজাবাড়িতে (মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ এলাকায়) যৌথ মালিকানার চারতলা ভবন অবৈধভাবে দখল এবং পার্টনারকে থাকতে না দেওয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে। ন্যায়বিচারের আশায় মঙ্গলবার (৮ জুলাই) টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভূক্তভোগী প্রবাসী জুয়েল মিয়ার স্ত্রী শারমিন আক্তার। তিনি এই ঘটনায় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগও তুলেছেন।
লিখিত বক্তব্যে শারমিন জানান, তার স্বামী প্রবাসী জুয়েল মিয়া গ্রামের নিকট আত্মীয় গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানার এসআই আব্দুল আলিম ও তার স্ত্রী শাহনাছ আক্তারের সঙ্গে যৌথভাবে ৬ শতাংশ জমি কিনে চারতলা ভবন নির্মাণ করেন। এক কোটি দুই লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ ভবনের খরচ দুইপক্ষ সমানভাবে বহন করার কথা ছিল। নির্মাণ ব্যয়ের অংশ হিসেবে জুয়েল মিয়া দুই কিস্তিতে মোট একান্ন লাখ টাকা জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে প্রদান করেন। তবে আরও ১৭ লাখ টাকা বাকি থাকায় তিনটি ফ্ল্যাটের মাসিক ভাড়া (২১ হাজার টাকা করে) আসামিপক্ষ চার বছর ধরে উঠিয়ে নিচ্ছে।
শারমিনের অভিযোগ, ভাড়া থেকে বকেয়া টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও আসামিপক্ষ টাকা ফেরত দেয়নি, উল্টো ভাড়া আদায়ের কথা অস্বীকার করে তাকে ও তার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। তাদের ভাড়াটিয়াদেরও ভয়ভীতি ও অশালীন আচরণের মাধ্যমে চলে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, গত ৩০ জুন ও ১ জুলাই তারিখে অভিযুক্তরা তার ফ্ল্যাটে ঢুকে পানির কল ভাঙচুর করে এবং মোটরের লাইন জোরপূর্বক বন্ধ করে দেয়। আগেও তিনি নির্যাতিত হয়ে ১০ এপ্রিল মির্জাপুর থানায় মামলা করেছিলেন, তবে আসামি পুলিশ কর্মকর্তা হওয়ায় থানা পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
এ ঘটনায় মির্জাপুর আমলী আদালতে মামলা করেছেন শারমিন। তিনি অভিযোগ করেন, মামলা তুলে নিতে এখন প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং তার স্বামীর ভবন পুরোপুরি দখলের চেষ্টা চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে শারমিনের পাশে উপস্থিত ছিলেন মিনহাজ উদ্দিন, চায়না বেগম ও আকলিমা আক্তার। শারমিন দ্রুত ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।