বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন,জুলাই আন্দোলনে ছাত্রদলের ৫শতাধিক নেতাকর্মী নিহত হয়েছে। এছাড়া হাজার হাজার নেতাকর্মী আহত হয়েছে। বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদল একটি সুনির্দিষ্ট সংখ্যা ব্যাখা করেছে তাছাড়া অন্য কেউ প্রকাশ করেনি। জুলাই আন্দোলনে মুল ভূমিকা ছিলো তারেক রহমানের।
বুধবার রাতে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে জেলা ছাত্রদলের আয়োজনে জুলাই-আগস্টের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে সকল শহীদদের স্বরণে স্বরণ সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এসময় টুকু আরও বলেন, চরমোনাই পীরকে আওয়ামীলীগ তাত ভেঙ্গে ফেলেছিলো সেও এখন বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলে। এই চরমোনাই পীর পতিত স্বৈরাচার সরকারকে বাতাস করেছে। দেশের বর্তমানে জনপ্রিয় নেতা হচ্ছে তারেক রহমান। আর সেই তারেক রহমানকে যারা কথা বলেন তাদের মাশুল দিতে হবে। যারা এই দেশের মানুষের কাছে ঘৃন্যত রাজাকার তারাও আজকে তারেক রহমানকে নিয়ে কথা বলে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে আগে আমাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তারপর অন্য কিছু,বাংলাদেশর মানুষ বিএনপির সাথে রয়েছে, তারেক রহমান যেমন বলেছে জনগণের সাথে থাকুন বিএনপি জনগনের দল। বাংলাদেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন দাবী তারেক রহমানের ভূল নয়। আপনারা নির্বাচন দিন দেখেন জনগণ বিএনপিকে বেঁচে নিবে। শেখ হাসিনা যেমন নির্বাচন দিতে ভয় পেত ঠিক আপনারাও নির্বাচন দিতে ভয় পাচ্ছেন।আপনারা জনগণকেও ভয় পান নির্বাচন দিতে। বিএনপি একমাত্র দল যারা জোড় করে ভোট নেয় নাই। জনগণ যতবার ভোট দিবার সুযোগ পেয়েছে ততবার বিএনপি বিজয়ী হয়েছে।
আজকে গোপালগঞ্জের হামলার ঘটনায় বিএনপির পক্ষে মির্জা ফখরুল ইসলাম একটি বিবৃতি দিয়েছে আর আমরাও নিন্দা জানাই। যারা এখনো প্রশাসনের মধ্যে ফ্যাসিবাদ রয়েছে তাদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে তাই বলতে চাই আগামীর বাংলাদেশ হবে জনগণের বাংলাদেশ।
স্বরণ সভায় জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক দূর্জয় হোড় শুভর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এম এ বাতেনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, সাবেক যুগ্ম আহবায়ক শফিকুর রহমান লিটন,যুবদলের আহবায়ক খন্দকার রাশেদুল আলম রাশেদ,জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুর রহমান শফিক ও শহীদ মারুফের মা মোর্শেদা বেগম।