পাবলিক পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নে সর্বোচ্চ গোপনীয়তা বজায় রাখতে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। কোনো পরীক্ষক দায়িত্বে গাফিলতি করলে বা অন্য কাউকে দিয়ে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করালে দুই বছরের জেল, অর্থদণ্ড বা উভয় শাস্তি হতে পারে।
গত শনিবার (১৯ জুলাই) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এস এম কামাল উদ্দিন হায়দারের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পাবলিক পরীক্ষার উত্তরপত্র একটি গোপনীয় নথি, যা প্রধান পরীক্ষক বা নিয়োগকৃত পরীক্ষক ব্যতীত অন্য কেউ দেখাতে বা মূল্যায়ন করতে পারবে না। শিক্ষার্থী, শিক্ষক বা পরিবারের কেউ বৃত্ত ভরাট বা খাতা দেখলে তা হবে পরীক্ষা আইন ১৯৮০ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
গোপনীয়তা লঙ্ঘনের প্রমাণ মিললে অভিযুক্তকে সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড দেওয়া হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, প্রধান পরীক্ষক ও সংশ্লিষ্টদের অবশ্যই উত্তরপত্র সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও গোপন রাখতে হবে। বিষয়টিকে ‘অতীব জরুরি’ উল্লেখ করে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে নির্দেশনাটি পাঠানো হয়েছে।