পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর প্রভাবে দৌলতদিয়ার ৩, ৪ ও ৭ নম্বর ফেরিঘাটসহ আশপাশের এলাকা চরম ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ফেরিঘাট রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে বালুভর্তি বস্তা ফেলা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) জানায়, দৌলতদিয়ায় ৭টি ফেরিঘাটের মধ্যে বর্তমানে ৩টি ঘাট (৩, ৪ ও ৭ নম্বর) সচল আছে। তবে ভাঙনের কারণে সবগুলো ঘাটই এখন হুমকির মুখে। বিশেষ করে ৪ ও ৭ নম্বর ফেরিঘাট সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
এছাড়া বাহির চর ছাত্তার মেম্বার পাড়া, মজিদ মাতুব্বর পাড়া, শাহাদত মেম্বার পাড়াসহ স্থানীয় বাজার, মসজিদ, স্কুল, মাদরাসা—সবই ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে।
ভাঙনের পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এলাকা পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয়রা জানান, ভাঙনের গতি এমনই যে কয়েক দিনের মধ্যেই বহু পরিবার বসতভিটা সরিয়ে নিচ্ছেন।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, “ভাঙনের কারণে তিনটি সচল ঘাটই এখন হুমকির মুখে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ফেরি চলাচল ব্যাহত হতে পারে।”
বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী নেপাল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, “জরুরি ভিত্তিতে সাত শতাধিক বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে। তবে পূর্ণাঙ্গ সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ জরুরি।”
স্থানীয় বাসিন্দারা সরকারের কাছে স্থায়ী নদী শাসনের দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন, “প্রতি বর্ষায় এমন ভাঙন হয়, কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে টেকসই ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। আমরা আর কোনো প্রতিশ্রুতি নয়, চাই কার্যকর সমাধান।”