গণতান্ত্রিক, মানবিক এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ঢাকা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান।
ড. ইউনূস বলেন,
“৫ আগস্ট কেবল একটি তারিখ নয়—এটি একটি প্রতিজ্ঞার দিন। একটি গণজাগরণের ইতিহাস এবং ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে জাতির পুনর্জাগরণের প্রতীক।”
তিনি জাতির পক্ষে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে জন্ম নিয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশ।
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে বলেন,
“১৬ বছর ধরে দেশে একপ্রকার মাফিয়াতন্ত্র গড়ে তোলা হয়েছিল। ক্ষমতায় টিকে থাকতে ফ্যাসিবাদী সরকার জনগণের বুকে গুলি চালিয়েছিল। এমনকি আহতদের চিকিৎসাও বন্ধ রাখতে হাসপাতালগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।”
তিনি জানান, আহতদের আর্থিক সহায়তা এবং গুরুতরদের বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
ড. ইউনূস আরও বলেন,
“১৯৭১ সালে যে লক্ষ্য নিয়ে সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এ দেশের মানুষ—সাম্য, ন্যায়বিচার ও মর্যাদার জন্য—তা আজও অনেকাংশে অধরা। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও জনগণ এখনো গণতন্ত্র ও সুবিচার থেকে বঞ্চিত। ২০২৪ সালের উত্তাল জুলাই ছিল দীর্ঘ দিনের দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে এক বিস্ফোরণের ফল।”
তিনি বলেন, এখন সময় এসেছে মানবিকতা, সমতা ও আইনের শাসনের ভিত্তিতে একটি নতুন বাংলাদেশ গঠনের। যেখানে সকল নাগরিকের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে।











