কিডনি বা পিত্তথলিতে পাথর বর্তমানে অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। আগে এই সমস্যা তুলনামূলক কম শোনা গেলেও, অনিয়মিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাবার ও পর্যাপ্ত পানি না খাওয়ার কারণে এখন এর প্রকোপ বেড়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, সঠিক জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাস মেনে চললে কিডনি ও পিত্তথলির পাথর অনেকটাই এড়ানো সম্ভব।
কিডনিতে পাথরের কারণ
কিডনি আমাদের শরীর থেকে দূষিত পদার্থ মূত্রের মাধ্যমে বের করে দেয়। কিন্তু কখনও মূত্রে থাকা অতিরিক্ত ক্যালশিয়াম অক্সালেট, ক্যালশিয়াম ফসফেট ও ইউরিক অ্যাসিড জমে কিডনিতে পাথর তৈরি হয়।
পিত্তথলিতে পাথরের কারণ
পিত্তথলির পাথর মূলত কোলেস্টেরল ও বিলিরুবিন জমে তৈরি হয়। চর্বিযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া, অনিয়মিত খাবার গ্রহণ ও দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকার ফলে এর ঝুঁকি বেড়ে যায়।
পাথরের উপসর্গ
-
তীব্র যন্ত্রণা
-
বমি বমি ভাব বা বমি
-
বুকে বা পেটে অস্বস্তি
-
প্রস্রাবের রঙ পরিবর্তন
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, একবার কিডনিতে পাথর হলে ভবিষ্যতেও তা পুনরায় হতে পারে। তাই জীবনধারায় পরিবর্তন আনা জরুরি।
কিডনি ও পিত্তথলির পাথর প্রতিরোধের উপায়
-
পর্যাপ্ত পানি পান করুন: প্রতিদিন অন্তত ৩-৪ লিটার পানি পান করুন।
-
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন: হঠাৎ ওজন বৃদ্ধি বা কমানো এড়িয়ে চলুন।
-
খাবার বাদ দেবেন না: বিশেষ করে সকালের নাশতা নিয়মিত করুন।
-
সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন: অক্সালেটসমৃদ্ধ খাবার যেমন পালংশাক, বাদাম কম খান এবং বেশি করে টাটকা সবজি ও লেবু জাতীয় ফল খান।
-
কম চর্বিযুক্ত খাবার বেছে নিন: পিত্তথলির পাথর এড়াতে কম ফ্যাট, প্রোটিন ও ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন।
কিডনি বা পিত্তথলির পাথর শুধু চিকিৎসার বিষয় নয়, বরং এটি প্রতিরোধের বিষয়। সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এই ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে।