বাংলাদেশে গত আট বছরে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৪–এর প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। জরিপে দেখা গেছে, দেশে বর্তমানে মোট বেকারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ লাখ ২৪ হাজার, যার মধ্যে স্নাতক ডিগ্রিধারী বেকারই ৮ লাখ ৮৫ হাজার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি তিনজন বেকারের একজন স্নাতক ডিগ্রিধারী। বিশেষ করে দীর্ঘমেয়াদি বেকারের মধ্যেও স্নাতকদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। দুই বছরের বেশি সময় ধরে যারা বেকার রয়েছেন, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ স্নাতক পাস।
২০১৭ সালের জরিপে দেখা গিয়েছিল, দেশে প্রায় ৪ লাখ স্নাতক বেকার ছিলেন। আট বছর পর এই সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯ লাখে। এ বাস্তবতা তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থান সংকটকে আরও স্পষ্ট করে তুলেছে।
অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, দেশে রাজনৈতিক সংস্কারের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সংস্কার ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া জরুরি। বিশেষ করে তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করা এখন সময়ের দাবি।
জরিপে আরও বলা হয়েছে, ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মধ্যে বেকারের হার সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর দুই বছরের বেশি সময় ধরে বেকার রয়েছেন প্রায় ১৭ শতাংশ তরুণ-তরুণী। তুলনায় উচ্চমাধ্যমিক পাসদের মধ্যে এই হার ৮ শতাংশের মতো, আর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই এমনদের মধ্যে মাত্র ১ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে শুধু বেকারত্ব নয়, ‘ছদ্ম বেকারত্ব’ বা আংশিক কর্মসংস্থানও একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। জরিপ অনুযায়ী, প্রায় ১ কোটি মানুষ তাদের যোগ্যতা ও সম্ভাব্য কাজের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ চাকরি পাচ্ছেন না।