টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গাতে ঔষধের দোকানে অভিযান চালিয়ে বিপুর পরিমান নেশাজাতীয় ঔষধ উদ্ধার করেছে র্যাব-১২, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আটজনকে শাস্তি প্রদান করা হয়। এর মধ্যে সাতজনকে জরিমানা ও একজনকে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
এসময় টাঙ্গাইল র্যাব-১২, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল কোম্পানী কমান্ডার মেজর আবু নাঈম মো. তালাত বলেন, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি, এলেঙ্গার কয়েকটি ঔষধের দোকানে বিপুল পরিমান নেশা জাতীয় লোপেন্টা এবং ট্যাপেন্টাডল ঔষধ, রেজিস্ট্রেশন বিহীন ঔষধ এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মজুদ করেছে। বিষয়টি কালিহাতী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহরিয়ার রহমানকে জানালে তিনি অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আটজনকে শাস্তি প্রদান করেন। এদের মধ্যে সাতজনকে ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা ও একজনকে তিন মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
এবিষয়ে কালিহাতি এবং ড্রাগ সুপার নার্গিস আক্তার জানান, অবৈধ ও বিক্রি নিষিদ্ধ ঔষধ রাখা ও বিক্রির অভিযোগে মোবাইল কোর্ট অভিযানের মাধ্যমে ঔষধ আইন ১৯৪০ এর ১৮ (এ) ২৭ ধারা মোতাবেক সাজা প্রদান করা হয়।
এসময় সাজাপ্রাপ্ত সোনিয়া মেডিকেল হলের সুরুজ্জামান (৪২) কে তিন মাসের কারাদণ্ড, অন্তরা মেডিকেল হলের কবির হোসেন (৩২)কে নগদ ১০ হাজার টাকা, নুপুর ফার্মেসীর মো. নাসির উদ্দিন (৩৮)কে নগদ ২০ হাজার টাকা, মায়া মেডিকেল হলের বাসু দেব দে (৫৮)কে নগদ ৩০ হাজার টাকা, সেন মেডিকেল হলের অজয় সেন (৪০) কে নগদ ১০ হাজার টাকা, দেব ফার্মেসীর স্বপন কুমার ভৌমিক (৫০) কে নগদ ১০ হাজার টাকা, আলসেফা মেডিসিন শপ এর মোঃ খোকন হোসেন (৩৫)কে নগদ ১০ হাজার টাকা ও সাহানা মেডিকেল হলের মো. শাহদৎ হোসেন (৩৫)কে নগদ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়।