টাঙ্গাইলের মির্জাপুর শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারি কলেজে ২১টি পুরোনো ও বড় বড় গাছ ন্যূনতম মূল্যে বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো প্রচারণা ছাড়া গোপনে এই গাছগুলো উন্মুক্ত নিলামে বিক্রি করেন।
ক্যাম্পাসে লিফলেট বিতরণ ছাড়া কোনো প্রচারণা করা হয়নি। নিলামে অংশগ্রহণ করেছেন পিতা-পুত্রদের মালিকানাধীন তিনটি প্রতিষ্ঠান—কালাম এন্টারপ্রাইজ, আকাশ এন্টারপ্রাইজ ও বাপ্পি এন্টারপ্রাইজ। কলেজের অধ্যক্ষ ও টেন্ডার কমিটির মাধ্যমে দরপত্র আহ্বান এবং নিলাম সম্পন্ন হয়।
কলেজের কমিটি নির্ধারিত মূল্যে ১৫টি মেহগনি, ৩টি আকাশমনি, ২টি নিম এবং ১টি লিচু গাছ বিক্রির জন্য অনুমোদন দেয়। সরকারি দাম ১,৩০,৭৩০ টাকা, অথচ বাবা-পুত্রের প্রতিষ্ঠানগুলো সর্বমোট ১,৩২,০০০ টাকায় গাছগুলো ক্রয় করে। নিলামের সময় অন্য কোনো ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন না।
কাঠ ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, কারণ বাজার মূল্যের হিসেবে গাছগুলোর মোট মূল্য প্রায় ৪ লাখ টাকার বেশি। এছাড়া ৫০ হাজার টাকার লাকরিও বিক্রি করা হয়েছে।
কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রধান নুরুল ইসলাম মিয়া বলেন, গাছ বিক্রির জন্য নোটিশ কলেজের প্রধান ফটকে লিফলেটের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছিল। কমিটির সদস্যরা জানেন না অংশগ্রহণকারীরা বাবা-পুত্র সম্পর্কের কি না। কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ওছমান গনি বলেন, সর্বোচ্চ দরদাতার কাছে বিক্রি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
মির্জাপুর উপজেলা প্রশাসন জানায়, সরকারি নিয়ম অনুসারে গাছ বিক্রি বা কর্তনের আগে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিক্রির বিষয়ে প্রশাসনকে অবহিত করা হয়নি।