টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বিএনপির সদ্য বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন (৫৫)-কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে র্যাব-১৪ সিপিসি-৩ এর একটি দল তাকে আটক করে।
কালিহাতী থানার ওসি মাহবুবুর রহমান জানান, রবিবার (১২ অক্টোবর) ভুক্তভোগী শিশুর মেডিকেল পরীক্ষা ও আদালতে জবানবন্দি সম্পন্ন হয়েছে। মেয়েটি ও তার পরিবারের নিরাপত্তায় পুলিশ সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রয়েছে।
র্যাব-১৪ সিপিসি-৩ এর কমান্ডার মেজর কাওসার বাধন জানান, চলতি বছরের ২৫ মার্চ রাত ৩টার দিকে কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের একটি গ্রামে ওই শিশুর বাড়িতে ঢুকে ইসমাইল হোসেন জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের সময় তিনি মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেন।
পরিবার বিষয়টি টের পেলে ইসমাইল ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। সম্মানহানির ভয়ে পরিবার অনেকদিন আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেনি। পরে শিশুর শারীরিক পরিবর্তন দেখা দিলে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মেলে।
এরপর শিশুর বাবা বাদী হয়ে ৯ অক্টোবর কালিহাতী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা (নম্বর-১০) করেন। মামলার পর র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ১৩ অক্টোবর দেলদুয়ার উপজেলার নাসির গ্রুপ কোম্পানি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনাটি স্বীকার করেছেন। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য তাকে কালিহাতী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ঘটনাটি গণমাধ্যমে প্রচারিত হলে জেলাজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় ইসমাইল হোসেনের নাম আসার পর টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন ও সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল তাকে নারান্দিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদসহ দলীয় সব পদ থেকে বহিষ্কার করেন।