টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার প্রিয় মুখ আরিফুর রহমান ফারুক আর নেই। তাঁর মৃত্যুতে বিদ্যালয় থেকে সহকর্মী—সবখানেই নেমেছে শোকের ছায়া। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ২টা ৫ মিনিটে ঢাকার বারডেম হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে, মা, বড় ভাইসহ অসংখ্য শিক্ষার্থী, সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন তিনি। ১৯৯৯ সালে কালিহাতী আর এস সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদানের পর প্রায় ২৬ বছরের শিক্ষকতায় তিনি হয়ে উঠেছিলেন ছাত্রদের পথপ্রদর্শক, অভিভাবক ও আদর্শ মানুষ।
বিগত কয়েক বছরে হৃদরোগ, এনজিওগ্রাম, রিং বসানো এবং বাইপাস সার্জারি করাতে হয় তাঁকে। চলতি আগস্টে আবারও ব্যথা ফিরে এলে ইউনাইটেড হাসপাতালে কার্ডিওলজিস্টের পরামর্শ নেন। এরপর পেটব্যথা শুরু হলে টাঙ্গাইল সোনিয়া ক্লিনিকে ভর্তি হন। পিত্তথলিতে ইনফেকশন ধরা পড়ায় গত ১৫ অক্টোবর তাঁকে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় কালিহাতী আর এস সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে তাঁর প্রথম জানাজায় হাজারো মানুষ অংশ নেন। পরে নিজ গ্রাম সালেংকা মধ্যপাড়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে শোক ও স্মৃতিচারণ। সবাই তাঁকে স্মরণ করছেন একজন আদর্শবান, হাস্যোজ্জ্বল ও অনুপ্রেরণামূলক শিক্ষক হিসেবে। তাঁর মৃত্যুতে কালিহাতী হারালো এক আলোকবর্তিকা।