বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, গত পাঁচ দিনে দেশে তিনটি গুরুত্বপূর্ন স্থানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে—মিরপুরের কারখানায়, চট্টগ্রামের ইপিজেডে এবং শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো এলাকায়—যা সরাসরি বাংলাদেশের অর্থনীতির সঙ্গে জড়িত হওয়ায় আশঙ্কা তৈরি করছে। তিনি এসব ঘটনার পেছনে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টকশোতে রুমিন বলেন, “এই তিনটি জায়গাই বাংলাদেশের অর্থনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কোনো না কোনো গোষ্ঠী চাইছে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে, বিশেষ করে নির্বাচনের আগে।” তিনি সরাসরি কোনো দলের নাম না নিলেও পরে বলেন, এই পরিস্থিতি থেকে যারা সুবিধা পেতে চায় তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগকে অন্যতম হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
রুমিন আরও বলেন, “জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের দিনও যে ঘটনা ঘটেছে, সেখানে সরকারের অবহেলা, সমন্বয়হীনতা ও দায়িত্বহীনতা স্পষ্ট ছিল।” তিনি জানান, ওই সময় বহু রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করায় সতর্কতা গ্রহণ করা প্রয়োজন ছিল, কিন্তু তা ছিল না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ যে বক্তব্য দিয়েছিলেন—“কেউ কেউ ফ্যাসিবাদের দোসর ঢুকিয়ে দিচ্ছে”—এই বক্তব্যকে রুমিন স্পর্শকাতর ও পরিপ্রেক্ষিতভিত্তিক হিসেবে বিশ্লেষণ করেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য যে পক্ষগুলো কাজ করছে, তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের নাম উঠে আসতেই পারে, কারণ তাদের সময় পার হওয়ার পরে দেশকে খারাপ অবস্থায় দেখানোর চেষ্টা চলছে।”
রুমিন দাবি করেন, আগ্রাসী বা নাশকতামূলক ঘটনার একটা নিয়ত শেষে নির্বাচন প্রভাবিত করতে পারে। তিনি সতর্ক করে বলেন, “নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র আছে—এগুলো রোধ করতে হলে স্বচ্ছ তদন্ত ও প্রশাসনিক জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।”
রুমিনের এসব মন্তব্য বর্তমানে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা ও বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘটনাবহুল অংশগুলোর সত্যতা ও কোন গোষ্ঠী সংশ্লিষ্ট—সেটা নির্ধারণে স্বাধীন ও তাত্ত্বিক তদন্ত জরুরি বলে বিশ্লেষকরা উল্লেখ করেছেন।