সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের নিয়ে কটূক্তিমূলক মন্তব্য করায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আনিছুর রহমানকে তার বর্তমান কর্মস্থল থেকে অপসারণ করা হয়েছে। এর আগে সরকারি চাকুরি বিধি অনুসরণ না করায় টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে তাকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়।
অপসারণ হওয়া ওই প্রকৌশলীর নাম আনিছুর রহমান। তিনি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী। তাঁর বাড়ি সখিপুর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে।
কারণ দর্শানোর চিঠি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সওজের তত্ত্বাবধানে উপজেলার কচুয়া বাজার-কুতুবপুর বাজার পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়কের উন্নয়ন কাজ চলছে। ওই উন্নয়ন কাজের তদারকি করছেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী আনিছুর রহমান। বড়চওনা ইউনিয়নের একজন প্রবাসী ওই সড়কে নিম্নমানের কাজ হচ্ছে- এমন একটি ভিডিও গতকাল বুধবার ফেসবুকে পোস্ট করেন। ওই পোস্টে আনিছুর রহমান প্রবাসীকে নিয়ে একটি কটূক্তিমূলক মন্তব্য করেন। ওই মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মূহুর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। উপজেলার প্রবাসীরা ওই প্রকৌশলীর শাস্তি দাবি করেন। বড়চওনা ইউনিয়নের প্রবাসীদের একটি সংগঠন ওই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে আগামীকাল শুক্রবার মানববন্ধনের ঘোষণা দেন।
প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে স্থানীয়দের ক্ষোভের বিষয়টি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নজরে আসে। আজ বিকেলে ওই প্রকৌশলীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠান সওজের টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী।
কারণ দর্শানোর নোটিশে যা বলা হয় –
নোটিশে বলা হয়েছে- সরকারি প্রতিষ্ঠানের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের নির্দেশিকা ২০১৯ আলোকে ওই মন্তব্য সরকারের গণকর্মচারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে অনুসরণীয় বিষয় সমূহের পরিপন্থী। এতে সরকারি নির্দেশনা অমান্যের বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়েছে। এ কারণে কেন তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে না- তা আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সওজ কর্মকর্তাদের বক্তব্য –
এ প্রসঙ্গে উপ-সহকারী প্রকৌশলী আনিছুর রহমান আজ সন্ধ্যায় বলেন, ইতিমধ্যে আমার মন্তব্যের বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছি। রেমিটেন্স যোদ্ধাদের নিয়ে অশালীন মন্তব্যের বিষয়ে তিনি সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। কারণ দর্শানোর নোটিশের চিঠি তিনি পেয়েছেন বলে স্বীকার করেন।
সওজের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম মোল্লা কারণ দর্শানোর নোটিশের বিষয়ের তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আগামী তিন কর্ম দিবসের মধ্যে চিঠির জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এই বিষয়ে টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. সিনথিয়া আজমিরী বলেন, বিষয়টি আমার দৃষ্টিগোচর হওয়ার সাথে সাথে আমি তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করি। সেই সাথে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করি। পরবর্তীতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে নিয়ে “রেমিটেন্স যোদ্ধা”দের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানিয়ে শাস্তিস্বরূপ আনিছুর রহমানকে মির্জাপুর থেকে অপসারণ করেন।
 
			 
    	 
		     
                                
 
                                





 
							




