লন্ডনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত পপলার ও লাইমহাউস এলাকার সংসদ সদস্য আপসানা বেগম নতুন বিতর্কের মুখে পড়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিযোগ উঠেছে, উল্লেখযোগ্য আয় থাকা সত্ত্বেও তিনি এখনো সরকারি বাসায় বসবাস করছেন, যা সাধারণত নিম্নআয়ের মানুষদের জন্য বরাদ্দ। এক স্থানীয় বাসিন্দা মন্তব্য করেছেন, “এলাকায় অনেকেই সরকারি বাসার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করছেন, অথচ একজন এমপি এখানে থাকছেন, এটি ন্যায়সঙ্গত নয়।”
সমালোচনার বিপরীতে তার সমর্থকরা বলছেন, আপসানা বেগম পারিবারিক নির্যাতনের শিকার এবং সংখ্যালঘু নারী হিসেবে রাজনীতিতে কাজ করছেন, তাই সরকারি সুবিধা নেওয়ায় তাকে দোষারোপ করা ঠিক নয়। তবে সমালোচকরা মনে করছেন, এমপি হিসেবে উচ্চ বেতন ও সুবিধা থাকা সত্ত্বেও দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ সরকারি ঘর ত্যাগ করা উচিত ছিল।
আপসানা বেগমের রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয় টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলে, যেখানে তার প্রয়াত বাবা জনপ্রতিনিধি ছিলেন। তার পরিবারের শিকড় বাংলাদেশের সুনামগঞ্জে। সংসদে পারিবারিক সহিংসতা ও নারীর নিরাপত্তা নিয়ে তার সাম্প্রতিক বক্তব্য প্রশংসিত হয়েছে, যা তাকে সাধারণ মানুষের কাছে সহমর্মী নেত্রী হিসেবে পরিচিত করেছে।
এদিকে ব্রিটিশ রাজনীতিতে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত এমপিদের অবস্থান ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। বর্তমান সংসদে চারজন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত এমপির মধ্যে ইতোমধ্যেই বিতর্কের কারণে মন্ত্রীত্ব ছাড়তে হয়েছে। এর আগে রোশনারা আলী ৭০০ পাউন্ড বাড়িভাড়ার বিতর্কে এবং টিউলিপ সিদ্দিক আর্থিক সুবিধা সংক্রান্ত বিতর্কে পদত্যাগ করেছেন। আপসানা বেগমের পক্ষ থেকে এখনও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।











