মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ সোমবার। ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার পিজি হাসপাতালে (বর্তমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে টাঙ্গাইলের সন্তোষে ভাসানীর মাজারে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বিএনপি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্ম নেওয়া মওলানা ভাসানী জীবনের বড় অংশ কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি কৃষক-মজুরদের অধিকার, খিলাফত আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলনসহ বহু ঐতিহাসিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠায় তিনি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৭ সালে কাগমারী সম্মেলনে তার ‘আসসালামু আলাইকুম’ ঘোষণা রাজনৈতিক ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে আছে। পরবর্তীতে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি প্রতিষ্ঠা করে তিনি বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ চালিয়ে যান।
স্বাধীনতার পরও মওলানা ভাসানী গণমানুষের পক্ষে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন। ১৯৭৪ সালের ভুখা মিছিল ও ১৯৭৬ সালের ফারাক্কা লংমার্চ তার আন্দোলনমুখী জীবনের উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত।
তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সন্তোষে চলছে সাত দিনব্যাপী ভাসানী মেলা। রাজনৈতিক দলগুলোও বিভিন্ন আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে।











