নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দেওয়ায় টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল–সখীপুর) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খানকে ঘিরে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। গত রোববার (২৩ নভেম্বর) রাতে সখীপুর সরকারি কলেজ মোড়ের এক নির্বাচনী সভায় তিনি বলেন, “আমি নিজেই যেহেতু মুক্তিযোদ্ধা, সারা জীবন মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে সম্মান করেছি এবং ভবিষ্যতেও করবো।”
তার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই এ নিয়ে নানা বিতর্ক দেখা দেয়। কয়েকটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা ভিডিও শেয়ার হওয়ায় আলোচনার মাত্রা আরও বেড়ে যায়।
সখীপুর উপজেলার কয়েকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও এতোদিন কখনো তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দিতে শুনেননি। তাঁদের ধারণা—এ তথ্য হয়তো আগে প্রকাশ পায়নি, অথবা তাদের জানা ছিল না।
এ নিয়ে সোমবার (২৪ নভেম্বর) স্থানীয় একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আহমেদ আযম খান বলেন, “একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আমি বাসাইল অঞ্চলের একজন সক্রিয় আঞ্চলিক সংগঠক ছিলাম। সে সময় আমরা ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে যুক্ত হয়েছিলাম খন্দকার আব্দুল বাতেনের নেতৃত্বে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা যারা খন্দকার আব্দুল বাতেনের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম, তাঁদের কেউই তালিকাভুক্ত বা ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা নই, কারণ তিনি কোনো স্বীকৃত সাবসেক্টর কমান্ডার ছিলেন না। দেশের স্বাধীনতার জন্য কাজ করেছি—ভাতা বা স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য নয়।”
আহমেদ আযম খান দাবি করেন, এর আগেও বিভিন্ন সময়ে তার মুক্তিযুদ্ধ-সম্পৃক্ততা নিয়ে অনুসন্ধান হয়েছে। “আওয়ামী লীগের আমলেও ডিজিএফআই তদন্ত করেছিল। তারা বাসাইল ও সখীপুরে খোঁজ নিয়েছিল আমি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছি কি না। আমি মুক্তিযুদ্ধে জড়িত ছিলাম এবং আঞ্চলিক সংগঠকের দায়িত্বে কাজ করেছি।”










