কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর গত দুই সপ্তাহ ধরে আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ভারতের রপ্তানিকারকরা পাথরের দাম হঠাৎ বৃদ্ধি করায় এ অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এতে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছেন এবং সরকার প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানায়, ভারতের আমদানি-রপ্তানিকারকরা নতুন দামে পাথর আমদানি করতে চাইছেন না, কারণ এতে তাদের লোকসান হবে। পুরনো চুক্তির দাম ও নতুন দামের পার্থক্য বেশি হওয়ায় দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। এই দ্বন্দ্বের প্রভাব পড়েছে সোনাহাট স্থলবন্দরের সামগ্রিক বাণিজ্য কার্যক্রমে।
সোনাহাট স্থলবন্দর ২০১৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যক্রম শুরু করে। বন্দরে ৬০০ মেট্রিক টনের ওয়্যারহাউস, প্রায় ২ লাখ বর্গফুটের পার্কিং ও স্টকইয়ার্ড, প্রশাসনিক ভবন এবং শ্রমিক বিশ্রামাগার রয়েছে। বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতে পাথরের দাম বৃদ্ধি হলেও বাংলাদেশে প্রতি টনে ২০০-২৫০ টাকার কমে গেছে।
সোনাহাট স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা বদরুজ্জামান জানিয়েছেন, বিষয়টি সমাধানের জন্য দুই দেশের ব্যবসায়ীরা আলোচনায় রয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, দুই-তিন দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে। সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, “দুই দেশের ব্যবসায়ীদের দ্বন্দ্বের কারণে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে সরকার প্রতিদিন বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে।”
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা জানান, দীর্ঘ ১৪ দিন ধরে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাদের অর্থ ও সময়ের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, ভারতীয় রপ্তানিকারকরা চূড়ান্ত সমাধানে সম্মত হলে আগামী রবিবার থেকে বন্দরে পাথর আমদানি পুনরায় চালু হবে।











