বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের মনোনয়নপ্রার্থী সাইদুর রহমান সাইদ সোহরাব দাবি করেছেন, প্রার্থীর কারণে মির্জাপুর আসনে বারবার বিএনপির পরাজয় হচ্ছে। বুধবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মির্জাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবি জানান।
সাইদ সোহরাব বলেন, “বিগত ২০০১ সালে সারাদেশে বিএনপি মহাবিজয় লাভ করলেও বিতর্কিত প্রার্থী মনোনয়ন দেয়ায় মির্জাপুর আসনে ভরাডুবি হয়। এরপর ২০০৮ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে একই প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়ার কারণে দল হেরে গেছে। চলতি নির্বাচনে পুনরায় মনোনয়ন প্রদানে দলকে ভরাডুবির মুখে ফেলা হচ্ছে। ওই নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, পকেট কমিটি গঠন এবং পদ বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আমি বিগত ৪৫ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয়। ’৯০ সালের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে আওয়ামী সরকার বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছি। ছাত্রলীগের হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে মিথ্যা হত্যা মামলায় সাত মাস জেল খেটেছি। দলের সিদ্ধান্তে কখনও নিজের স্বার্থ প্রাধান্য দিইনি।”
সাইদ সোহরাব আশ্বস্ত করেছেন, “বির্তকিত নেতার মনোনয়ন পরিবর্তন করলে মির্জাপুর আসনটি বিএনপি পুনরুদ্ধার করতে পারবে। ইতিমধ্যেই ত্যাগী ও বঞ্চিত নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ মিছিল, সভা ও সমাবেশের মাধ্যমে মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে এগিয়ে এসেছে।”
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ভাওড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী মাসুদুর রহমান, লতিফপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলী হোসেন রনি, মির্জাপুর পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজী সোহরাব হোসেন, খন্দকার মোবারক হোসেন, পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সাজ্জাত হোসেন দিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান, উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম মৃধা, জাসাস সভাপতি হাশেম রেজা, সদস্য সচিব লেহাজ মাষ্টার, প্রজন্ম দলের আহবায়ক রয়েল, পৌর কৃষক দলের আহ্বায়ক মান্নান খান মান্না ও পৌর যুবদল আহ্বায়ক হামিদুর রহমান লাঠু প্রমুখ।











