টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে চোর অপবাদ দিয়ে পরকীয়া প্রেমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত হাসমত উল্লাহ হাসুর (৩০) জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার সাজিমারা গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে। সে টাঙ্গাইল সদরে আইএফআইসি ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন। এ ঘটনায় হাসমত উল্লাহ হাসুর ভাই রহমত উল্লাহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামী করে মির্জাপুর থানায় মামলা করেছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নের গ্রামনাহালি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। শুক্রবার গ্রেপ্তারকৃতদের টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার মহেড়া ইউনিযনের গ্রামনাহালি গ্রামের রমজান আলীর ছেলে রাশেদুল ইসলাম (৩৬) এবং একই গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে ইয়ামিন ইসলাম (৩০)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নের গ্রামনাহালি গ্রামের রমজান আলীর ছেলে রাশেদুল ইসলাম প্রবাসে থাকাকালীন তার স্ত্রীর নিশির সাথে হাসমত উল্লাহ হাসুর (৩০) পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। রাশেদুল দেশে আসার পরও হাসু তার নিশির সাথে যোগাযাগ অব্যাহত রাখে। স্বামী স্ত্রী পরিকল্পনা করে হাসুকে দেখা করতে আসতে বলে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে রাশেদুলের স্ত্রীর সঙ্গে হাসু দেখা করতে গেলে রাসেদুল ইসলাম ও ইয়ামিন ইসলাম মিলে হাসুকে আটক করে চোর অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
পরে মির্জাপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে পরে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত প্রায় ২ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুমুদিনী হাসপাতালে হাসমত উল্লাহ হাসুর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রাতেই পুলিশ রাশেদুল ও ইয়ামিনকে গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার গ্রেপ্তারকৃতদের টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়। এ ঘটনার পর নিশি পলাতক রয়েছেন।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, পরকীয়ার ঘটনাকে চোর অপবাদ দিয়ে মারপিট করায় এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। নিশি পলাতক রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।










