রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেওয়া হবে কি না, তা শনিবার রাতেই মেডিক্যাল বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে। বিএনপির মিডিয়া সেল এ তথ্য জানিয়েছে।
গতকাল শুক্রবার ভোরে কাতারের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেওয়ার জন্য আসার কথা ছিল। তবে কারিগরি ত্রুটির কারণে যাত্রা স্থগিত হয়েছে। কাতার সরকার জার্মানির একটি এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে পাঠাচ্ছে এবং সব ব্যবস্থা তারা নিশ্চিত করছে।
এদিকে প্রফেসর ডা. এ কিউ এম মহসিনের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার এন্ডোস্কোপি সম্পন্ন হয়েছে। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. আল মামুন জানিয়েছেন, এন্ডোস্কোপি রিপোর্ট অনুযায়ী পাকস্থলীর রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়েছে।
খালেদা জিয়ার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান শুক্রবার সকালেই ঢাকায় এসে সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে শাশুড়ির স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেন। বর্তমানে মেডিক্যাল বোর্ড ও ডা. জুবাইদা পরবর্তী চিকিৎসার পরিকল্পনা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর তিনি মুক্তি পান। এরপর চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান। ১১৭ দিনের চিকিৎসার পর ৬ মে দেশে ফেরেন এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
দলের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া সিসিইউতে ১৩ দিন ধরে চিকিৎসাধীন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, বিদেশ যাত্রা তার শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করছে।











