উত্তরের সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ে ক্রমেই বাড়ছে শীতের তীব্রতা। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এখানকার তাপমাত্রা গত কয়েকদিনে দ্রুত হ্রাস পেয়েছে।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে, যা দেশের সর্বনিম্ন বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ।
গতকাল শুক্রবার একই সময়ে তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা জনজীবনে ভোগান্তি সৃষ্টি করছে। শ্রমজীবী মানুষ, শিশু, বয়স্ক ও অসুস্থরা শীতের কারণে বেশি কষ্টে পড়ছেন। অনেক নিম্নআয়ের পরিবার শীতবস্ত্র সংকটে রয়েছে।
জেলা সদরের ইজিবাইক চালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “শীতের কারণে আমাদের কাজের সময় কমে গেছে। গাড়ি নিয়ে বের হলে আয় কম হয়।”
বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী এলাকার হাফিজুর রহমান বলেন, “কয়েক দিন ধরে শীত বেশ অনুভূত হচ্ছে। গরীব মানুষের কষ্ট বাড়ছে।”
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানিয়েছেন, পঞ্চগড়ে বর্তমানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে গেলে তা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। ডিসেম্বর মাসে আরও কমে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে।
জেলা প্রশাসক কাজী মো. সায়েমুজ্জামান জানান, শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো জেলা প্রশাসনের অগ্রাধিকার। এ বছরের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে পঞ্চগড়ে শীতবস্ত্র সহায়তার জন্য ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই পাঁচ উপজেলার ৪৩টি ইউনিয়নে ৮,৬৪০টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। তবে চাহিদা বেশি হওয়ায় অতিরিক্ত ৬৫,০০০ কম্বলের প্রয়োজন মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।











