টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলাধীন নরুন্দা গ্রামে প্রমাণবিহীন ও চাঞ্চল্যকর আশেকপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির শ্রমিক সর্দার শামসুল আলম হত্যা মামলার রহস্য ও দুইজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি-দক্ষিণ)। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলো, সদর থানার নগর জালফৈ গ্রামের মৃত আলহাজ্ব জহিরুল ইসলামের ছেলে মো. আব্দুর লতিফ মিয়া (৩৫) ও একই গ্রামের মৃত মহব্বত খানের ছেলে মো. হায়দার খান ওরফে মধু (২৮)।
এই ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয় নিজেদের দোষ স্বীকার করে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। ব্যবসায়িক শত্রুতার জের ধরেই তাকে হত্যা করা হয় বলে জবানবন্দীতে উল্লেখ করেন তারা।
ঘটনার বিবরণে টাঙ্গাইলে পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বিপিএম জানান, টাঙ্গাইল পল্লী বিদ্যুতের কাজের জের ধরে স্থানীয় একজন ঠিকাদারের সহিত শামছুল আলমের একটি বিরোধ ছিল। পরবর্তীতে ওই বিরোধের জের ধরে চলতি বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি ঘটনার দিন উক্ত ঠিকাদার তাহার এলাকার পরিচিত ০৩ জন ছেলে, দেলদুয়ারের একজন এবং গ্রেফতারকৃত আসামিদের নিয়ে সর্বমোট ০৭ জন ঘটনাস্থলে নিরিবিল জায়গায় অবস্থান করে। শামছুল আলম অটোযোগে বাড়ি ফেরার পথে আসামিরা ঘটনাস্থলে শামছুল আলমকে জোরপূর্বক অটো থেকে নামিয়ে স্টীলের পাইপ ও বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাথারি মারপিট করে। এতে শামছুল আলম অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। মারা গেছে ভেবে শামছুল আলমকে ফেলে পালিয়ে যায় আসামিরা। এরপর তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ০১ মার্চ রাতে তার মৃত্যু হয়।
পরদিন নিহত শামছুল আলমের স্ত্রী অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে দেলদুয়ার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা নম্বর ০৩, তারিখ -০২/০৩/২০২০।
এসময় তিনি জানান, মামলাটি প্রমাণবিহীন ও চাঞ্চল্যকর বিধায় মামলাটি ডিবি-দক্ষিণকে তদন্তভার দেয়া হলে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হয় এবং গ্রেপ্তারকৃতরা ঘটনার সাথে জড়িত থাকা ও ঘটনার বিবরণ তাদের জবানবন্দীতে উল্লেখ করেন। জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।