টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু ও তাঁর ভাতিজা উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মীর চঞ্চল মাহমুদসহ ৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা আক্রান্ত হলেও শারীরিকভাবে চেয়ারম্যান ও তাঁর ভাতিজার কোন উপসর্গ নেই বলে তারা জানিয়েছেন।
শনিবার সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাকসুদা খানম।
দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের শুরু থেকে কর্মহীন মানুষের পাশে থেকে সরকারি অনুদানের পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগে খাদ্যসহায়তা প্রদানসহ নিয়মিত অফিস করেছেন প্রবীণ এই আওয়ামীলীগ নেতা।
জানা গেছে, গত ৩১ মে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টু ও তাঁর ভাতিজাসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের নমূনা সংগ্রহ করেন স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা। পরে ১ জুন ঢাকার আইপিএইচ ল্যাবে পাঠালে শনিবার চেয়ারম্যান তাঁর ভাতিজাসহ অন্য আরও ৬ জনের শরীরের করোনা শনাক্তের খবর পায় স্বাস্থ্য বিভাগ। চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টু ও তাঁর ভাতিজা বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিবেন বলে জানা গেছে। চেয়ারম্যানসহ এ নিয়ে উপজেলায় সর্বমোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ৪৭ জনে।
এদিকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু করোনা আক্রান্তের খবরে তাঁর দ্রুত রোগ মুক্তি কামনা করেছেন টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, স্থানীয় এমপি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একাববর হোসেন।
আক্রান্ত অন্যরা হলেন, মির্জাপুর বাজারের বাসিন্দা নূরুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রী রেশমা রহমান. জামুর্কী ইউনিয়নের উফুল্কী গ্রামের আবদুল মোতালেব মিয়ার ছেলে মোকলেস মিয়া, ভাওড়া ইউনিয়নের আমরাইল তেলিপাড়া গ্রামের হারুনুর রশিদের ছেলে রেজাউল করিম, একই ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে আবদুল মালেক এবং পৌর সদরের পোষ্টকামুরী গ্রামের আবদুস সামাদের ছেলে তানভির হোসেন।
মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মালেক জানান আক্রন্তদের বাড়িসহ আশপাশের বাড়ি লকডাউন ঘোষণার প্রস্তুতি চলছে।