টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে বেড়েছে ডিমওয়ালা মা মাছের সংখ্যা। জেলেদের পাশাপাশি স্থানীয় মৎস্য শিকারীরা বিভিন্ন পন্থায় মাছ শিকার করছে যমুনা নদী থেকে। এতে মা মাছগুলো ধরা পড়ছে বেশি। যদিও মা মাছ নিধনের বিষয়ে কার্যকর কোন উদ্যোগ নেয়নি উপজেলা মৎস্য অফিস।
জানা গেছে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর টানা বৃষ্টিতে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বিভিন্ন এলাকার মৎস্য খামার ও পুকুর তলিয়ে গিয়ে মাছগুলো যমুনা নদীতে চলে আসছে। ঝাঁকে ঝাঁকে নদীতে চলে আসা এসব মাছ শিকার করছে জেলে ও মৎস্য শিকারীরা। এতে মা মাছ ধরা পড়ছে বেশি। যদিও নদীতে এ সময়ে বিভিন্ন প্রজাতি মাছের প্রজনন ও বংশ বিস্তার করে এই মৌসুমে।
সম্প্রতি গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার খানুরবাড়ী এলাকার কয়েকজন মৎস্য শিকারী যমুনা নদী থেকে ২৬টি মা বোয়াল মাছ শিকার করে। প্রত্যেকটি মা মাছের পেটই ছিলো ডিমে ভর্তি।
এবিষয় স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানায়, মা মাছ নিধনে আইনের প্রয়োগ ও প্রচারণা না থাকায় যমুনা নদীর বিভিন্ন অংশ ও জলাশয় থেকে জেলে ও মৎস্য শিকারীরা অবাধে মা মাছ নিধন করছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে মাছের বংশবিস্তার। এসময় তারা আরো জানান, মা মাছ নিধন বন্ধে সচেতনতা মূলক প্রচারণা চালানো দরকার।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় তালিকাভুক্ত ও কার্ডধারী প্রায় ১ হাজার ২’শ জেলে পরিবার রয়েছে।
সম্প্রতি যমুনার নদীর ভ‚ঞাপুর অংশ থেকে ২৬টি মা বোয়ালমাছ শিকার করলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি মৎস্য বিভাগ। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মৎস্য কার্যালয়ের কর্মকর্তা ড. মো. হাফিজুর রহমান জানান, এ উপজেলার যমুনা নদীর অংশে পানি বৃদ্ধিতে মা মাছগুলো অল্প পানিতে চলে আসছে। ইলিশ মাছ ছাড়া অন্য সব মাছের প্রজনন সময় হলো আষাঢ় মাস। এই সময় তারা ডিম ছাড়ে। ওই শিকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়নি তবে অন্যদের সতর্ক করা হয়েছে। এসময়ে যেসব জেলেরা মা মাছ নিধন করবে তাদের বিরদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।