নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলে লাকী বিড়ি ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা প্রনোদনা এবং কাজের দাবিতে অনশন করছে।
শনিবার ভোর থেকে প্রায় দুই’শতাধিক পুরুষ ও মহিলা শ্রমিক এ অবস্থান ও অনশন কর্মসূচি পালন করে।
এসময় তারা ওই ফ্যাক্টরি ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, প্রতিটি ব্যান্ডরোলের নির্ধারিত মূল্য ৮.১০ টাকা, ১০% আয়কর ও ১% স্বাস্থ্যকর নির্ধারিত; এছাড়া প্রতি প্যাকেট বিড়ির পাইকারী ১৬ টাকা এবং খুচরা ১৮ টাকা সরকারী দাম নির্ধারন করা হয়েছে।
কতিপয় দুর্নীতিবাজ বিড়ি ফ্যাক্টরির মালিকরা নকল ও পুরাতন ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে প্রতি প্যাকেট বিড়ি ১০ টাকা মূল্যে বাজারজাত করে আসছে।
ফলে লাকী বিড়িসহ বৈধভাবে সরকারি ট্যাক্স প্রদান করা বিড়ি ফ্যাক্টরিগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে ইতিপূর্বে একাধিক গণমাধ্যমে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় স্থানীয় কাস্টমস অফিস একাধিক বিড়ি ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান নকল-পুরাতন ব্যান্ডরোল ও বিড়ি জব্দ এবং কয়েকজন মালিককে আটক করে মামলা দায়ের করে।
লাকী বিড়ি ফ্যাক্টরির সামনে অনশনরত শ্রমিক ও শ্রমিক নেতারা জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ ফ্যাক্টরির মালিক কোন কাজ দেয় না; এমনকি আমাদের কোন প্রকার আর্থিক সহায়তা বা প্রণোদনাও দেয় না।
এতে করে আমরা কর্মহীন হয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। এসময় তারা কাজ অথবা প্রতিটি শ্রমিককে এককালীন ১ লাখ টাকা প্রণোদনা দেয়ার দাবি জানান।
লাকী বিড়ি ফ্যাক্টরির মালিক মো. শাহজাহান জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ আমার ফ্যাক্টরিটি বন্ধ রেখেছি। টাঙ্গাইলে দূর্নীতিবাজ কতিপয় বিড়ি ফ্যাক্টরির মালিক নকল ও পুরাতন ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে তাদের বিড়িগুলো বাজারজাত করে আসছে।
এতে করে আমি প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে বেশকিছু দিন যাবৎ লোকসানের ঘানি টানতে টানতে নিরুপায়।
এছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে সরকার কর্তৃক ঘোষিত কোন প্রকার প্রনোদনা আমি পাইনি; তাই আমি আমার শ্রমিকদের আর্থিকভাবে কোন প্রকার সহায়তা করতে পারছিনা।
ফলে দিন দিন শ্রমিক অসন্তোষ বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা আজ অনশন ধর্মঘট ও ধর্মঘট পালনকালে ফ্যাক্টরিতে ভাঙচুর চালায়। সম্পাদনা – অলক কুমার