ঘাটাইল সংবাদদাতা : বহুত বিপদে আছি, আমাগো সবজি কেউ নেয় না। খেতেই পঁইচা যাইতেছে।
যে টেহা খরচ অইছে তার সিকিও উঠে নাই।
কষ্টে ফলানো সবজির বাজার দাম নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার বীরসিংহ (নয়াপাড়া) গ্রামের কৃষক সিরাজদৌলা।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ঘাটাইলে সব ধরনের সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানায় কৃষক। কিন্তু দাম না পেয়ে তারা হতাশ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলায় প্রায় ১ হাজার ৫শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ও বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ফুলকপি ৩ টাকা, বাঁধাকপি ৪ টাকা, বেগুন ৪ টাকা, মুলা ২ টাকা এবং লাউ প্রতিটা ৫ থেকে সর্বোচ্চ ৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার লোকেরপাড়া ইউনিয়নের বীরসিংহ (নয়াপাড়া) ও আথাইল শিমুল ও ছয়ানী বকশিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ফুলকপি ক্ষেতেই পঁচে নষ্ট হচ্ছে।
বাজারে ন্যায্য মূল্য না পেয়ে দিশেহারা কৃষক। অনেকটা বাধ্য হয়েই তারা উৎপাদিত সবজি পানির দামে বিক্রি করতেছেন তারা।
এদিকে সবজি বাজারে নিয়েও বিপাকে কৃষক। পরিবহন খরচের টাকাও অনেক সময় নিজেদের পকেট থেকে দিতে হয়। উৎপাদন খরচের চারভাগের একভাগও তাদের পকেটে উঠছে না।
আথাইল শিমুল গ্রামের কৃষক পিন্টু জানান, আমি ২ বিঘা জমিতে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা চাষ করেছি। খরচ হয়েছে ৪৫ হাজার টাকা, আর বিক্রি করেছি মাত্র ২০ হাজার টাকা।
সবজি ব্যবসায়ী নুরু মিয়া বলেন, কৃষক সবজির দাম পাচ্ছে না, কারণ আমরাও শহরে নিয়ে ব্যবসা করতে পারছিনা।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলশাত জাহান বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে।
তবে আগাম সবজির দাম কৃষকরা ভালো পেয়েছেন। সম্পাদনা – অলক কুমার