ধনবাড়ী প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের মধুপুরে অপহৃত স্কুলছাত্রীকে দেড় মাসেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
এতে করে ওই স্কুলছাত্রীর পরিবার চরম হতাশা ও শঙ্কায় ভুগছেন।
নিখোঁজ হওয়া স্কুলছাত্রী মধুপুর পৌরসভার মাষ্টারপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
সে এবার মধুপুর রানীভবানী মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী।
পুলিশ বলছে উদ্ধারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে মধুপুর থানায় ৩ জনকে আসামী করে গত ২৭ ডিসেম্বর মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ১৩।
আসামীরা হলো, মধুপুরের বৃত্তিবাড়ী গ্রামের জলিলের ছেলে নজরুল ইসলাম (৩২), নাহিদুল ইসলাম (২১) ও শালিকা গ্রামের আ. করিমের ছেলে শাহীন (৩০)।
অপহৃত স্কুলছাত্রীর মা জানান, তার মেয়ে মধুপুর রানী ভাবনী মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী।
দীর্ঘদিন ধরে পাশের বৃত্তিবাড়ী এলাকার আ. জলিলের ছেলে নজরুল ইসলাম আমার মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো।
তার প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় রাস্তায় আসা-যাওয়ার পথে আমার মেয়েকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতো এবং উঠিয়ে নিয়ে বিয়ে করার হুমকী প্রদান করতো।
গত ১৪ ডিসেম্বর ২০২০ ইং সন্ধ্যায় আমার মেয়ে মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের ব্রাক্ষণবাড়ী আমার বাবার বাড়ি থেকে ফেরার পথে মজিদচালা গ্রামের রাস্তায় আল-আমিনের মনোহারী দোকানের সামনে পৌঁছলে নজরুল ও তার ৩/৪ জন সহযোগী মিলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়ের গতিরোধ করে অপহরণ করে সিএনজি যোগে তুলে নিয়ে যায়।
অনেকে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে পরদিন ১৫ ডিসেম্বর আমার শ্বশুর মধুপুর থানায় সাধারণ ডায়রী করেন। ডায়রী নং ৫৮২।
ওই স্কুলছাত্রীর বাবা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, অপহরণের দেড় মাস পার হয়ে গেলেও পুলিশ আমাদের মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি।
জানি না কি কারণে একজন আসামীও এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। মামলা করায় নজরুলের পরিবার আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
এবিষয়ে মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারিক কামাল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মামলার তদন্ত ও গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আশা করি দ্রুতই সবাইকে গ্রেপ্তার করতে পারবো। সম্পাদনা – অলক কুমার