বিশেষ প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি সমর্থক এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের পদ ব্যবহার করে পোস্টার ও ফেস্টুন ব্যবহার করে এলাকায় প্রচারণা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
ঘাটাইলের বর্তমান সংসদ সদস্যের ঘনিষ্ট সহচর হিসেবে চলাফেরা করে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছেন বলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ।
এঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, বিএনপি নেতাকর্মীসহ এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক হাস্যরস ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
জানা গেছে, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও জাতীয় শহীদ দিবস উপলক্ষে উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহবায়কের পদ ব্যবহার করে মোহাম্মদ দেওয়ান মারুফ শামীম নামের এক ব্যক্তি আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্থানীয়ভাবে পোস্টার ও ফেস্টুন তৈরি করে এলাকায় প্রচারণা চালাচ্ছে।
বিষয়টি স্থানীয় বিএনপি, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নজরে এলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার তৈরি করেছে।
এবিষয়ে দেওপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম জানান, আওয়ামী লীগ যুগ্ম-আহবায়ক দাবীদার মোহাম্মদ দেওয়ান মারুফ শামীম আমার সংগঠনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক।
বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়ে সে বিএনপি থেকে চলে যায়; বিষয়টি নিয়ে সাংগঠনিক কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বা সেও পদত্যাগ পত্র দেয়নি।
দেওপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট রেজাউল করিম বাদশা জানান, আওয়ামী লীগের পদ ব্যবহারকারী শামীম পারিবারিক ভাবে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত।
আমাদের সংগঠনের তার কোন প্রকার প্রাথমিক সদস্য পদও নেই। বিষয়টির আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
এই ব্যাপারে অভিযুক্ত মোহাম্মদ দেওয়ান মারুফ শামীম বলেন, প্রয়াত নজরুল ইসলাম খান (সামু) আমাকে যুগ্ম-আহবায়ক বানিয়ে গেছেন।
তাছাড়া বর্তমান এমপি জানেন, আমি আওয়ামী লীগের কোথায় আছি বলেই তিনি মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম লেবু জানান, শামীম বিএনপি জামায়েত জোট সরকারের সময়ে পুরান ঢাকার একজন বিএনপি দলীয় ক্যাডার ছিল। তার নামে একাধিক মামলা রয়েছে।
বর্তমানে সে ঘাটাইলের সাবেক এমপি আমানুর রহমানের সহচর হিসেবে চলাফেরা করে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছে; আমাদের সংগঠনের কোন পর্যায়ের কোন সদস্য নয়।
সে পোস্টার ও ফেস্টুন ছাপিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সম্পাদনা – অলক কুমার