ক্রীড়া প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল জেলা স্টেডিয়ামে ৯ মার্চ (মঙ্গলবার) শুরু হতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগ।
ইতোমধ্যে জেলা ক্রীড়া সংস্থা এই লীগের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
টাঙ্গাইল ক্রিকেটের ১০টি প্রভাবশালী ক্লাবের অংশ গ্রহণে শুরু হতে যাওয়া এই লীগকে ঘিরে টাঙ্গাইল স্টেডিয়াম পাড়ায় এখন বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।
এবার প্রিমিয়ার ডিভিশনে ৫০ ওভারের খেলায় ব্যবহার করা হবে সাদা বল; আর খেলোয়াড়রা সাদা পোশাকের পরিবর্তে গাঁয়ে জড়াবে রঙ্গিন পোশাক।
বঙ্গবন্ধু প্রিমিয়ার লীগে অংশ গ্রহনকারী ১০টি ক্লাব হচ্ছে- ‘ক’ গ্রুপে- কাপাপো ক্রীড়া চক্র, ইষ্টান স্পোর্টিং ক্লাব, প্রগতিশীল স্বদেশী সংঘ, টাঙ্গাইল ক্রিকেট ক্লাব, প্যাড়াডাইসপাড়া স্পোর্টিং ক্লাব।
’খ’ গ্রুপে- থানা পাড়া ক্লাব, ইয়ং স্পোর্টিং ক্লাব, সিটি ক্লাব, স্কয়ার ক্রিকেট ক্লাব, মারুফ স্মৃতি ক্লাব।
সরেজমিনে টাঙ্গাইল জেলা স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখা যায়, অনেকদিন পর টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে বসেছে নবীন-প্রবীন ক্রিকেটাদের মেলাকে কেন্দ্র করে জেলা ক্রীড়া সংস্থার ক্রিকেট পরিষদের কর্মকর্তাগণ এবং ক্লাব সদস্যরা ব্যস্ত শেষ মূহূর্তের প্রস্তুতিতে।
পুরো মাঠে জুড়ে নানা রংয়ের পোশাক পরা বিভিন্ন ক্লাবের কিশোর, তরুণ ও প্রবীণ ক্রিকেটাররা অনুশীলনে ব্যস্ত।
স্টেডিয়ামের আউট ফিল্ডে এক দিকে অনুশীলনে ব্যস্ত অংশগ্রহনকারী প্রায় সব ক্লাবের সদস্যরা। কঠোর অনুশীলনে ঘাম ঝরাচ্ছেন এই সব ক্লাবের খেলোয়াররা।
আরো বেশি ব্যস্ত সময় পার করছেন পিস কিউরেটর হায়দার আলী। দু’জন সঙ্গীকে নিয়ে তিনশ’ কেজি ওজনের রোলার দিয়ে পিস ঠিক করছেন। এ ছাড়া দু’টি স্পন্সর প্রতিষ্ঠান হ্যাবিট টাঙ্গাইল ও হক ব্রাদার্সের কর্মচারীগণ ক্রিকেট মাঠের চারিদিকে বিলবোর্ড বসাতে ব্যস্ত।
এই সব আয়োজন যাদের জন্য সেই ক্রিকেটারদের অনুভুতি অত্যন্ত আনন্দের; তারা জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এই ধরনের ক্রিকেট লীগ আয়োজনের জন্য।
তাদের প্রত্যাশা, আগামী ৯ মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে টাঙ্গাইলের ক্রিকেটারগণ তাদের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে পারবে।
আয়োজক ও সংগঠকরা যা ভাবছেন –
প্যাড়াডাইস পাড়া স্পোর্টিং ক্লাবের অফিসিয়াল ভ্রমর চন্দ্র ঘোষ ঝোটন ও থানা পাড়া ক্লাবের এরফানুল করিম খান আজমি বলেন, অনেক দিন পর রঙ্গিন পোশাকে লীগ অনুষ্ঠিত হচ্ছে; এটা অত্যন্ত ইতিবাচক দিক।
প্রিমিয়ার ডিভিশনে অংশ গ্রহন করা প্রতিটি ক্লাব খেলোয়াদের পারিশ্রমিক প্রদানের ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক।
আশা করি, এবার প্রিমিয়ার ডিভিশনের প্রতিটি খেলা হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। প্রতিটি ক্লাব তাদের পেশাদারিত্বমূলক মনোভাব নিয়ে লীগে অংশ গ্রহণ করবে।
এ প্রসঙ্গে জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম-সম্পাদক ও ক্রিকেট উপ-পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাতিনুজ্জামান খান সুখন বলেন, দীর্ঘ পরিকল্পনা নিয়ে টাঙ্গাইল ক্রিকেট উপ-পরিষদ এগোচ্ছে।
বিশেষ করে, পাইনিয়ার ক্রিকেট লীগ আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে জেলা ক্রীড়া সংস্থার। যে লীগে নতুন নতুন দল অংশ গ্রহণের সুযোগ পাবে; তৈরি হবে ক্রীড়া সংগঠক ও নতুন ক্রিকেটার।
প্রতিবছর এই রকম ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ও লীগ আয়োজন করতে পারলে টাঙ্গাইলের ক্রিকেটাদের সুযোগ হবে ঢাকার বিভিন্ন লীগে অংশ গ্রহণ করার।
সকল মহলের সহযোগিতা পেলে টাঙ্গাইলের ক্রিকেটকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার সম্ভব বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মির্জা মঈনুল হোসেন লিন্টু বলেন, অন্যন্য খেলা গুলোর সাথে ক্রিকেটের উপরও জোর দিচ্ছে জেলা ক্রীড়া সংস্থা।
ইতোমধ্যে ভলিবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে; প্রস্তুতি চলছে কাবাডি টুর্ণামেন্ট আয়োজনের।
বঙ্গবন্ধু প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগের পর দ্বিতীয় বিভাগ ও পাইনিয়ার ক্রিকেট লীগের আয়োজনের প্রস্তুতিও চলছে বলে তিনি আরো জানান।
টাঙ্গাইলের প্রতিভাবান ক্রিকেটারগণ যেন ঢাকার বিভিন্ন লীগে অংশ গ্রহণ করতে পারে; সে বিষয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন। সম্পাদনা – অলক কুমার