মির্জাপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইল জেলা কালচারাল কর্মকর্তা খন্দকার রেদওয়ানা ইসলামকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার (২৭ মার্চ) বিকালে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালের একটি ভিআইপি কেবিন থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনায় নিহতের ভাই খন্দকার মো. আরশাদুল আবীর বাদি হয়ে নিহতের স্বামীকে একমাত্র আসামি করে মির্জাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ধারণা করছে নিহতের স্বামী দেলোয়ার হোসেন মিজান তাকে হত্যা করেছেন। তিনি সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ভোলা ব্রাঞ্চের একজন দায়িত্বরত কর্মকর্তা। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রিজাউল হক ঘটনার সত্যতা ও মামলা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি জানান, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার স্বামী পালিয়ে গেছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, রেদওয়ানা প্রসব ব্যথার জন্য গত ২২ মার্চ মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি হন। ওইদিন সে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।
এরপর থেকে কন্যা সন্তানটি আইসিওতে (নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট) রাখা হয়। গত চারদিন আগে রেদওয়ানা ইসলামকে চিকিৎসকরা ছুটি দিয়ে দেন।
কিন্তু জন্ম নেয়া মেয়ে হাসপাতালে থাকার কারণে রেদওয়ানা হাসপাতালেই একটি ভিআইপি কক্ষ নিয়ে থেকে যান।
শনিবার সকালে তার স্বামী দেলোয়ার হোসেন মিজান আসেন হাসপাতালে রেদওয়ানার সাথে দেখা করতে।
বিকালে হাসপাতালের নার্স অনুরাধা রেদওয়ানার কক্ষ বাইরে থেকে তালাবন্ধ অবস্থায় দেখতে পেয়ে কর্তৃপক্ষকে জানায়।
পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কক্ষের ডুব্লিকেট চাবি দিয়ে তালা খুলে ভেতরে রেদওয়ানার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়া হয়।
পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
এই ঘটনায় টাঙ্গাইলের সাংস্কৃতিক কর্মীরা ক্ষোভ ও খুনীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করার দাবি জানান। সম্পাদনা – অলক কুমার