টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : দালালচক্রের কারসাজিতে জমি কেনা নিয়ে সৃষ্ট জটিলতায় চরম ভোগান্তিতে পরেছেন এক উদ্যোক্তা।
দালালচক্রটি মাসকম কম্পোজিট লিমিটেড নামীয় প্রতিষ্ঠানের জমি কেনা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করেছে।
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদীঘি ইউনিয়নের শোলাকুড়া গ্রামে মাসকম কম্পোজিট লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হওয়ার সময় কতিপয় দালালদের কারণে স্থানীয় জমির মালিকদের সঙ্গে কোম্পানীর সমন্বয়হীনতার জটিলতা দেখা দিয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় –
জানা গেছে, ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত মাসকম কম্পোজিট লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠানটি সাগরদীঘি মৌজার শোলাকুড়া গ্রামে জমি কেনা শুরু করে।
এ পর্যন্ত কোম্পানীটি একই মৌজার সিএস খতিয়ান ১০৬ ও এসএ খতিয়ান ৩৫৫ এর বিভিন্ন দাগের ২৪ একর ৩০ শতাংশ জমি ক্রয় করে।
ওই জমি কেনা-বেচায় স্থানীয় বাহাদুর হোসেন সাবান, মো. লিয়াকত আলী ও মো. সুরুজ আলী কোম্পানী ও বিক্রেতাদের মধ্যে মধ্যস্থতা করেন।
কোম্পানীর চেয়ারম্যান মো. শামস উদ্দিন আহম্মেদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন খানের পক্ষে নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক ছাত্রদল নেতা মো. আতোয়ার রহমান অপু লেনদেন করছেন।
এরই মধ্যে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে নির্বাহী পরিচালক মো. আতোয়ার রহমান অপুর অলিখিত সমঝোতা হয়।
ওই সমঝোতার পর ১৬৮শতাংশ জমির মালিক মো. আলিম উদ্দিন মাষ্টার; ৪২ শতাংশের মালিক আব্দুল করিম; ৪২ শতাংশের মালিক তোফাজ্জল হোসেন আকন্দ ও মকবুল হোসেন আকন্দ; ১২ শতাংশের মালিক আবু হাসান সিদ্দিকীর জমি মাসকম কোম্পানীর টিনসেড বেষ্টনী দিয়ে ভেতরে নেওয়া হলেও তাদের কাছ থেকে কিনে নেওয়া হয়নি।
এনিয়ে মো. আলিম উদ্দিন মাষ্টার বাদি হয়ে টাঙ্গাইলের যুগ্ম-জেলা জজ দ্বিতীয় আদালতে গত ২১ মার্চ স্বত্ত্ব বাটোয়ারা মামলা দায়ের করেন।
আদালত গত ২৫ মার্চ কোম্পানীকে কারণ দর্শানোর আদেশ জারি করেন।
শোলাকুড়া গ্রামের মো. আশরাফ আলী, মো. আব্দুস সালাম, রোকেয়া বেগম, শহর বানু, ফজলুল হক সহ অনেকেই জানান, মো. আলিম উদ্দিন মাষ্টারের সম্পত্তি তার বড় ভাই হাকিম উদ্দিন কোম্পানীর কাছে প্রতারণামূলকভাবে ২-৩ বার বিক্রি করেছে।
প্রতিবারই কোম্পানীকে অন্ধকারে রেখে স্থানীয় দালাল ও নির্বাহী পরিচালক এ অপকর্ম করেছেন।
তারা আরও জানান, কোম্পানীর চেয়ারম্যান ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্থানীয় জমির মালিকদের সাথে কথা বললেই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন।
জমির মালিক পক্ষ ও উদ্যোক্তার মন্তব্য –
জমির মালিক মো. আলিম উদ্দিন জানান, কোম্পানীর দখলে থাকা ১৬৮ শতাংশ জায়গায় তিনি চাষাবাদ করেছেন, জায়গার মালিকও তিনি; তার বড় ভাই হাকিম উদ্দিন তাদের পুরাতন বাড়ি কুমার ভিটায় বসবাস করতেন।
পরে তিনি শোলাকুড়া বসবাসের ইচ্ছা প্রকাশ করায় তাকে মৌখিকভাবে থাকতে দেওয়া হয়েছে।
কিভাবে ও কোন দলিলের উপর ভিত্তি করে তিনি মাসকম কম্পোজিটের কাছে বিক্রি করেছেন তা তিনি জানেন না; তাই তিনি স্বত্ত্ব বাটোয়ারা মামলা দায়ের করেছেন।
মাসকম কম্পোজিট লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মো. আতোয়ার রহমান অপু জানান, স্থানীয় মো. আলিম উদ্দিন মাস্টারের জমি ক্রয় সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে ইতোমধ্যে কয়েক দফায় সামাজিকভাবে মিমাংসার চেষ্টা করা হয়েছে।
কিন্তু প্রতিবারই তারা কাগজপত্র নিয়ে না আসায় সমাধান হয়নি। জটিলতার বিষয়টি কোম্পানী সমাধানে আগ্রহী।
মো. আলিম উদ্দিন মাষ্টার চাইলে এ বিরোধ সামাজিকভাবেই সমাধান সম্ভব। সম্পাদনা – অলক কুমার