নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার দক্ষিণখানে স্ত্রীর পরকীয়ার কারণে মসজিদের ইমামের হাতে খুনের ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হয়েছে।
নিহত ব্যক্তি টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার রাজাবাড়ী গ্রামের আজহারুল ইসলামের (৪০)।
বুধবার রাতে সাড়ে ৭টায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে তার জানাজা শেষে ছয় টুকরা লাশ সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। আজহারুল এলেঙ্গা রাজাবাড়ী গ্রামের জুলহাস উদ্দিনের ছেলে।
এর আগে মঙ্গলবার রাজধানীর দক্ষিণখান সরদারবাড়ি জামে মসজিদের সেপটিক ট্যাংক থেকে আজহারুল নামে ওই গার্মেন্টকর্মীর ৭ টুকরো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় র্যাব মসজিদের ইমাম আব্দুর রহমানকে গ্রেফতার করে।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, বাসায় আসা-যাওয়ার সূত্র ধরে আজহারুলের স্ত্রীর সঙ্গে আব্দুর রহমানের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়।
এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে ২০ মে মসজিদে ইমামের কক্ষে গিয়ে খুন হন তিনি; পরে তার লাশ গুম করতে সাত টুকরা করে সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখা হয়।
আব্দুর রহমানকে গ্রেফতারের বিষয়ে মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে র্যাব।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল মোত্তাকীম জানান, সোমবার রাতে র্যাবের গোয়েন্দা দল খবর পায় সরদারবাড়ি জামে মসজিদের সিঁড়িতে রক্তের দাগ এবং সেপটিক ট্যাংক থেকে তীব্র গন্ধ ছড়াচ্ছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১ ছায়া তদন্ত শুরু করে।
তখন জানা যায়, আজহারুল নিখোঁজ রয়েছেন।
এ ঘটনার তদন্তের একপর্যায়ে দক্ষিণখানের মাদ্রাসাতুর রহমান আল আরাবিয়া থেকে আব্দুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়।
তার কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ৩টি চাকু ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সরদারবাড়ি জামে মসজিদের সেপটিক ট্যাংক থেকে আজহারুলের লাশ উদ্ধার করা হয়। সম্পাদনা – অলক কুমার