স্বাস্থ্য প্রতিবেদক : কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের জন্য সরকার কর্তৃক সরবরাহকৃত ওষুধ স্টোরে থেকেই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে।
অথচ প্রতিদিনই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীরা ওষুধের জন্য গিয়ে ফেরত আসতে হয়।
ওষুধ সরবরাহ নাই বলে দিনের পর দিন রোগীদের ফিরিয়ে দিতেন কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ফার্মেসীর ফার্মাসিস্টরা।
অথচ সেখান থেকেই উদ্ধার হলো বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ।
জানা যায়, রোববার দুপুরে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধগুলো ফেলে দেওয়ার উদ্দেশ্যে স্টোর রুমের পাশে পুরুষ ওয়ার্ডের সামনে জমা করে রাখা হয়।
সংবাদ পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. উম্মে রুমান সিদ্দিকী ওষুধগুলো উদ্ধার করেন; এবং তাৎক্ষনিকভাবে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন তিনি।
আরো জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোর কিপার জাহিদুল ইসলাম তালুকদার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফার্মেসিতে এবং উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও ওয়ার্ডে ওষুধের চাহিদা অনুযায়ী ওষুধ সরবরাহ না করে স্টোরে জমা করতে থাকে। এতে ওই স্টোরে বিপুল পরিমাণ ওষুধ মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়।
পরে সেই মেয়াদ উত্তীর্ণ সরকারি ওষুধ ফেলে দেওয়ার সময় উদ্ধার করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. উম্মে রুমান সিদ্দিকী। তবে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে অভিযুক্ত করা হয় নাই।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে আসা বেশ কয়েকজন জানান, এখান থেকে গ্যাসটিকের ওষুধ ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায় না। তাও সবসময় দেয় না।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোর কিপার জাহিদুল ইসলাম তালুকদার বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, আমি এঘটনার সাথে জড়িত নই।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. উম্মে রুমান সিদ্দিকী জানান, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. মিরাজ আহমেদকে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সম্পাদনা – অলক কুমার