আদালত প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় শর্তসাপেক্ষে অন্তবর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান মুক্তি।
চিকিৎসা করার শর্তে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৮ দিনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাসুদ পারভেজ জামিন মঞ্জুর করেন।
অতিরিক্ত পিপি মনিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামি পক্ষের আইনজীবী সুচিকিৎসার দাবিতে মুক্তির জামিন আবেদন করেন।
পরে শুনানি শেষে বিচারক শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করেন। জামিন মঞ্জুরের সময় মুক্তি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এই মামলার পরবর্তী তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি।
মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম জানান, রাতে ঘুমের সময় আসামির অক্সিজেন কমে যায় মর্মে গত এক মাস পূর্বের একটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আদালত এই জামিন মঞ্জুর করেছেন।
মুক্তি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার ভাই। তাদের বাবা আতাউর রহমান খান একই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়ার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার হয়।
এই হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশ আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
আদালতে এ দুজনের দেয়া স্বীকারোক্তিতে হত্যার সঙ্গে তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা; তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি; ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে।
এরপরই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি ও তার তিন ভাই আত্মগোপনে চলে যান।
আমানুর রহমান খান রানা ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আত্মসমর্পণ করেন; প্রায় তিন বছর হাজতবাসের পর জামিনে মুক্তি পান।
অভিযুক্ত সাবেক মেয়র মুক্তি দীর্ঘ ছয় বছর পলাতক থেকে ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করেন।
আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন; এরপর দফায় দফায় জামিনের আবেদন করলেও প্রতিবারই আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।
সাবেক মেয়র মুক্তির অন্য দুই ভাই এখনও পলাতক রয়েছে। সম্পাদনা – অলক কুমার