নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় পতাকা ব্যবহার নীতিমালায় বলা হয়েছে, শুধু সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত পর্যন্ত পতাকা উত্তোলিত রাখতে হবে। এটাই নিয়ম।
তবে বিশেষ কারণে রাতে ভবনসমূহে পতাকা উত্তোলিত রাখা যেতে পারে। যেমন- সংসদের রাতের অধিবেশন, রাষ্ট্রপতি বা মন্ত্রীগণের শপথ অনুষ্ঠান চলাকালীন।
শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অর্ধনমিত রাখার নিয়ম রয়েছে কিন্তু রাতে উত্তোলিত রাখার বিধান নাই।
কিন্তু সেই নিয়ম ভঙ্গ করে টাঙ্গাইল দুগ্ধ কারখানায় ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনদিন যাবত অর্ধনমিত রাখা হয়। পতাকা নামানো হয়নি।
বিজয়ের ৫০ বছর ও ভাষা শহীদের ৬৯ বছরে এসেও লাখো শহীদের রক্তে ভেজা লাল সবুজের পতাকার এমন যথেচ্ছা ও অবমাননাকর ব্যবহারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সচেতন মহল ও মুক্তিযোদ্ধারা।
সোমবার মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে পতাকা অর্ধনমিত রাখার নিয়ম অনুযায়ী পতাকা উত্তোলন করেন টাঙ্গাইল দুগ্ধ কারখানা।
তারপর থেকেই এখন পর্যন্ত পতাকা নামানো হয়নি, এখনো অর্ধনমিতই রয়েছে। এমনকি রাতেও নামানো হয়নি; যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত পতাকা অর্ধনমিত দেখা যায়। বিষয়টি সর্বমহলে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় তুলেছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর হোসেন বলেন, গায়ের রক্ত ঝরিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি; যে পতাকার জন্য আজ সে পতাকার অবমাননা মানতে খুব কষ্ট হয়।
একটি সরকারি অফিসে এ ধরনের ভুল কখনো মানা যায় না।
এ ব্যাপারে জেলা দুগ্ধ কারখানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মো. মোস্তফা সারোয়ার বলেন, ‘আমি বিযয়টির জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি; পরবর্তীতে এ ধরনের ভুল হবে না। সম্পাদনা – অলক কুমার