মধুপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের মধুপুর বনাঞ্চলের দোখলা পিকনিক স্পটের পাশে গারোদের চাষাবাদের ফসলী জমির বাইদে লেক খননের উদ্যোগের প্রতিবাদে ক্ষুদ্র গারো জাতি গোষ্ঠীর নারী-পুরুষ-ছাত্র-যুবসমাজ মানববন্ধন ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছে।
সোমবার ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত প্রচন্ড রোদে দাঁড়িয়ে তারা দোখলা বাজারের চার রাস্তা মোড়ে এ কর্মসূচি পালন করে।
পুলিশ, দাঙ্গা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যেও ফসলী জমির বাইদে লেক খননের প্রকল্প বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে সম্মিলিত আদিবাসী জনতা ও বাংলাদেশ আদিবাসী যুব ফোরাম।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন- সম্মিলিত আদিবাসী জনতা ও বাংলাদেশ আদিবাসী যুব ফোরামের প্রবীণ গারো নেতা অজয় এ মৃ।
নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যেও সমাবেশে বক্তৃতা করেন- যুব গারো নেতা জনযেত্রা, ছাত্র নেতা অলিক মৃ, টনি চিরান, নারী নেত্রী মুকুল দারু প্রমুখ।
সমাবেশ পরিচালনা করেন লিয়াং রিচিল।
বক্তারা বলেন, দোখলা ও চুনিয়া গ্রামের মধ্যবর্তী এলাকার ফসলী জমির নিচু বাইদের ব্যক্তি মালিকানার ৪ একর জমিতে লেক খনন প্রকল্প হাতে নিয়েছে বন বিভাগ।
সেখানে ‘সংরক্ষিত বনাঞ্চল, সর্বসাধারণের প্রবেশ নিষেধ, উন্নয়নমূলক কাজ চলমান’ লেখা সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে দেয়ার ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
তাই ঘোষণা দিয়ে এ কর্মসূচি তারা পালন করেছেন।
গারো জনগোষ্ঠীর বংশ পরম্পরায় চাষাবাদ করা এ জমিতে লেক খনন তারা বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।
দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।
মানববন্ধনে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু উপস্থিত হয়ে আন্দোলনরত গারোনারীদের সাথে কথা বলেন।
টিসু দিয়ে বয়স্কদের মুখের ঘাম মুছে দেন তিনি। সমাবেশে বক্তৃতাও করেন তিনি।
বক্তৃতায় তিনি গারো নেতৃবৃন্দের সাথে দফায় দফায় আলোচনার কথা উল্লেখ করে বলেন, গারোরা আমাদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতির অংশ, জনগোষ্ঠীর অংশ।
তারা আমাদের বাইরের কেউ নয়। ইতোপূর্বের তাদের সকল ন্যায় সঙ্গত আন্দোলনে আমরা ছিলাম, থাকবো।
তিনি বলেন, সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অংশ এ লেক। এটি তৈরিতে সৃষ্ট পরিস্থিতি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে। সম্পাদনা – অলক কুমার