বিশেষ প্রতিবেদক : অতি সাংবাদিকতা করতে গিয়ে নির্মাণাধীন সরকারি সম্পত্তির বিনষ্ট করে ধরা খেলেন চার সাংবাদিক।
শেষমেষ মুচলেকা দিয়ে রক্ষা পেলেন তারা।
ওই চার সাংবাদিক হলো আনন্দ টিভির উত্তর টাঙ্গাইল প্রতিনিধি মেহেদী হাসান মৃদুল, যুগান্তর কালিহাতী উপজেলা প্রতিনিধি তারেক আহমেদ, লতিফ তালুকদার ও আনিসুর রহমান শেলী।
ঘটনার বিবরণ –
জানা যায়, ওই চার সাংবাদিক জানতে পারেন কালিহাতী উপজেলা নাগবাড়ী ইউনিয়নের পাইকপাড়া প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পে অনিয়ম হচ্ছে। সরেজমিনে এ সংবাদ সংগ্রহে গিয়েছিলেন চার সংবাদিক।
কাজের মান যাচাই করতে লাথি ও ধাঁক্কা দিতে শুরু করেন মেহেদী হাসান মৃদুল ও তারেক আহমেদসহ অন্যরা; এতে সদ্য নির্মিত পিলার ভেঙে পড়ে যায়।
পরবর্তীতে সংবাদের অংশ হিসেবে কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) বক্তব্য নিতে যান।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) আগেই সংবাদ পেয়েছিলেন যে তারা (সাংবাদিকরা) আশ্রয়ণ প্রকল্পের পিলার নিজেরা ভেঙে ভিডিও ধারণ করে নিয়েছে। ইউএনও বিষয়টি তাৎক্ষনিক জেলা প্রশাসককে জানান।
জেলা প্রশাসক কালক্ষেপন না করে পরদিনই ওই আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করেন এবং পিলার ভাঙার সত্যতা পান।
ঘটনাস্থলেই জেলা প্রশাসক সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি সাধন করার অভিযোগে ওই চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।
আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার খবর পেয়ে ইউএনও’র কাছে যান ওই চার সাংবাদিক।
ইউএনও’র মন গলাতে না পেরে তারা চলে আসেন জেলা প্রশাসকের কাছে। ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
সেসময় তাদের ভর্ৎসনা করেন জেলা প্রশাসক।
পরে তারা ক্ষমা চান ও ভবিষ্যতে এমন কাজ করবে না, এমন মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা পান।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা বলেন, ঘটনাটি অনভিপ্রেত ঘটনা। তবে সাংবাদিকতা করতে হলে তাকে প্রতিটি বিষয় জেনে, বুঝে করতে হবে। যা খুশি তা করা যাবে না।
এবিষয়ে কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুমানা তানজিন অন্তরা বলেন, কি উদ্দেশ্যে তারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা তারাই ভালো জানে। তবে পরে তারা ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়েছেন এবং মুচলেকা দিয়েছেন ভবিষ্যতে এ ধরণের কোন কাজ করবে না মর্মে।
ঘটনা সম্পর্কে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. আতাউল গণি বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলাম; সেসময় তারা ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করে ক্ষমা চান।
পরে টাঙ্গাইলের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের মধ্যস্থতায় মুচলেক প্রদান সাপেক্ষে তাদের ক্ষমা করা হয়। সম্পাদনা – অলক কুমার