টাঙ্গাইল শহরের বিবেকানন্দ স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে’র বিরুদ্ধে আনীত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার লিপ্সা বলে অভিহিত করেছেন কলেজের সকল প্রভাষক ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা।
সংবাদ প্রকাশের পর তাৎক্ষণিকভাবে কলেজের সকল প্রভাষক ও অভিভাবক সদস্যবৃন্দ একটি লিখিত প্রতিবাদ লিপি প্রদান করেন। প্রতিবাদ লিপিতে তারা উক্ত প্রভাষকের শাস্তিও দাবি করেন।
এসময় প্রভাষকবৃন্দ জানান, দেওয়ান শামস উদ্দিন ২৮ এপ্রিল ২০১২ নিয়োগ প্রাপ্ত হন। কিন্তু নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে তিনি অন্যান্য প্রভাষকদের মতো কোনদিনই প্রতিষ্ঠানের নিয়ম-কানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না। তিনি কখনোই কলেজে উন্নতির জন্য কোন কাজ করেন নাই। দেওয়ান শামস উদ্দিন এই প্রতিষ্ঠান ছাড়া একাধিক করটিয়ার এইচ এম ইন্সটিটিউটে শিক্ষকতা করেন। তার আগে তিনি এই প্রতিষ্ঠা নিয়োগ পাওয়ার পর পাঁচ বছর পর্যন্ত সৃষ্টি শিক্ষা পরিবারে শিক্ষকতা করেছেন। যা আইনত অপরাধ। কলেজে শিক্ষকতা করেন এ যখন উনার ক্লাস থাকে তখন উনি ক্লাস নিয়ে সাথে সাথে চলে যান।
কয়েকজন ছাত্রের সাথে কথা বললে তারা অভিযোগ করে বলেন, স্যার তো কলেজে আসেন, ক্লাস নেন, চলে যান, আমাদের কোন কোন প্রকার সহযোগিতার জন্য উনাকে পাওয়া যায় না।
অভিভাবক সদস্য সোলায়মান আহামেদ বলেন, দেওয়ান শামস উদ্দিন সুমন নিজের মতো করে চলে, কলেজের কোন কাজে উনার অংশগ্রহণ নাই। এমনকি তিনি ছাড়াদের পড়াশোনার বিষয়ে তেমন যতœশীল না। ফলে কমার্চ বিভাগের ফলাফল আনুপাতিক হারে খারাপ। এছাড়া উনি আইনজীবী পেশার সাথেও যুক্ত।
আইনজীবী হয়ে শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত থাকতে পারেন কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে টাঙ্গাইল জেলা এডভোকেট বার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মাঈদুল ইসলাম শিশির বলেন, এডভোকেট সনদ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের পেশাগত আচরন বিধির ৪র্থ অধ্যায়ের ৮ নং বিধিতে সুস্পষ্ট ভাবে বলা আছে একজন আইনজীবির ব্যবসা, চাকুরি বা অন্য কোন পেশার সঙ্গে জড়িত হওয়া নিষিদ্ধ। সে মতে দেওয়ান শামস উদ্দিন সুমনকে যে কোন একটি পেশা বেছে নিতে হবে। হয় চাকুরি, না হয় আইন পেশা।