দেড় দশক আগের অর্থপাচার মামলার দণ্ডাদেশ থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যাবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে খালাস দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে মামুনের আপিল মঞ্জুর করে বৃহস্পতিবার এই রায় দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। আইনজীবীরা বলছেন, এ মামলায় তারেক রহমানের আপিল না থাকলেও খালাসের রায়ের সুবিধা তিনি পাবেন।
বিচারিক আদালত বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানকে খালাস দিলেও পাঁচ বছর আগে হাইকোর্ট তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা সরকারে পতনের পর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন মামুন। তাতে শুনানির পর গত বছর ১০ ডিসেম্বর মামুনকে আপিল করার অনুমতি দেন আপিল বিভাগ। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে মামুন আপিল করেন।
সেই আপিলে গত ৪ মার্চ শুনানি শেষ হলে রায় ঘোষণার জন্য রেখেছিলেন সর্বোচ্চ আদালত। আদালতে গিয়াস উদ্দিন আল আল মামুনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আসিফ হাসান। ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলা করে দুদক। ২০১০ সালের ৬ জুলাই তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়।