গণহত্যাকারী সন্ত্রাসী দল আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা এবং দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়ে গণঅধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক ও উচ্চতর সদস্য শাকিল উজ্জামান বলেছেন- এই অন্তবর্তীকালীন সরকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা, শ্রমিক ও মেহনতী মানুষের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে সরকার, অথচ ছয় মাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও সন্ত্রাসী দল আওয়ামী লীগকে সেই অন্তবর্তীকালীন সরকার এখনো নিষিদ্ধ করতে পারেনি। আমরা বলতে চাই, এটা অন্তবর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতা।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে টাঙ্গাইল পৌর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নিরালা মোড়ে জেলা গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত গণহত্যার সাথে জড়িতদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শাকিল বলেন, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশে গণহত্যা সংগঠিত হয়েছে এবং অসংখ্য মানুষকে গুম ও খুন করেছে। ২০০৯ সালে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে আওয়ামী লীগ হত্যা করে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছিলো তারা। এরপর ২০১৪ সালের ৫ মে শাপলা চত্ত্বরে অসংখ্য আলেমকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে হত্যা করা হয়েছে। যে দলের নেতৃত্বে এদেশের মানুষের উপর উপর গণহত্যা চালানো হয় সেই সন্ত্রাসী দলের এইদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই।
এদিকে আলোচিত ও সমালোচিত জেলার ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইলের পলশিয়া এলাকায় ব্যক্তি মালিকানাধীন ক্রয়কৃত বালুর স্তুপ নিলামকান্ডের ঘটনায় শাকিল উজ্জামান আরও বলেন, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ও টেলিভিশনে দেখলাম ভূঞাপুর উপজেলার এসিল্যান্ড অবৈধভাবে আস্তর (প্লাষ্টার) বালুকে ভিটি দেখিয়ে ১০ কোটি টাকার বালু মাত্র ৫০ লাখ টাকায় বিক্রি করেছে। আমাদের প্রশ্ন- এসিল্যান্ড কিভাবে ১০ কোটি টাকার বালু ৫০ লাখ টাকায় বিক্রি করে। এটা তদন্ত হওয়া দরকার। কার কাছে এসিল্যান্ড কম দামে এই বালু বিক্রি করছে?।
টাঙ্গাইল জেলা গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি মনিরুজ্জামান মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শামীমুর রহমান সাগরের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় গণঅধিকার পরিষদের দুর্নীতি ও দমন কমিশন সম্পাদক মাহবুবুর রহমান রাসেল, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসাইন, জেলা গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান, শফিকুল ইসলাম, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি ফাহাদুল ইসলাম ফাহাদ, সদর উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক তামান্না ইসলাম তরী প্রমুখ।