নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘনকুয়াশার পাশাপাশি শৈত্যপ্রবাহ বইছে। হাড় কাঁপানো এই শীতে জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে।
শীতে রেল লাইন, ফুটপাত ও বস্তি এলাকার মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে।
সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে বয়োজ্যেষ্ঠ ও শিশুদের মধ্যে। শীতবস্ত্রের দাম বেশি হওয়ায় শীতবস্ত্র কিনতে পারছে না দুস্থরা।
এরমধ্যে অনেকে খরকুটোতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
শীতে ফুটপাত ও বস্তি এলাকায় থাকাসহ সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের শীতের কষ্ট লাগবে টাঙ্গাইলে অর্ধশতাধিক পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার।
রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চৌরাকররা গ্রামে দুঃস্থ ও শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়; কম্বল পেয়ে খুশি শীতার্তরা।
শীতের কম্বল পেয়ে সদর উপজেলার চৌরাকররা গ্রামের ৭০ বছর বয়সী শুকুর আলী বলেন, ঠান্ডায় খুব কষ্ট করতাছি; আমরা গরিব মানুষ, ট্যাহা পয়সা নাই।
এ শীতে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের দেয়া কম্বল পেয়ে আমি খুব খুশি হইছি। আল্লায় আমারে ঠাণ্ডা থিকা বাঁচাইলো।’
গৃহকর্মী জহুরা গরম কাপড় পেয়ে খুশিতে জহুরা বেগম বলেন, ‘সন্তানদের নিয়ে কয়েকদিন ধরে শীতে খুব কষ্ট করছি।
কোনো মতে এ্যাহন ঠান্ডা থেইকা বাঁচুম’।
শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন, পাঠাগারের সভাপতি মো. শাহজাহান।
এসময় পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা মো. কামরুজ্জামান সোহাগ, সদস্য আজাহারুল ইসলাম, মাহফুজা আক্তার, কহিনূর বেগম, অনিক হাসান, মো. হাবিবুর রহমান, জয় চন্দ্র দাস, নূর মোহাম্মদ উপস্থিত ছিলেন।
বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা মো. কামরুজ্জামান সোহাগ বলেন, শীত এলে সমাজের অনেক সুবিধাবঞ্চিত, ফুটপাত ও বস্তি থাকা লোকগুলো খুব কষ্টে থাকে।
তাদের শীতের কষ্ট লাঘবের জন্য প্রতিবারের মতো এবারও শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।
আমাদের মতো সমাজের সামর্থ্যবান ব্যক্তিদেরও ওইসব মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। তবেই মানবিক পৃথিবী গড়ে উঠবে।
প্রসঙ্গত প্রকাশ, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চৌরাকররা গ্রামে ২০১০ সালে গড়ে ওঠে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই পাঠাগারটি গ্রামের মানুষের মধ্যে পাঠাভ্যাস তৈরি, জ্ঞান-ভিত্তিক সমাজ বিনির্মানে সেলুন, বাসস্ট্যান্ড ও স্টেশন অণু-পাঠাগার স্থাপনসহ শিক্ষামূলক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি আর্তমানবতার সেবায় বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে।