বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জনগণই বিএনপির সব রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস। জনগণের চাওয়া ও সমর্থনের বাইরে কোনো পদ্ধতিকে বিএনপি সমর্থন করে না এবং ভবিষ্যতেও করবে না।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঠাকুরগাঁও বালক উচ্চবিদ্যালয়ের বড় মাঠে জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান এই বক্তব্য দেন।
সম্মেলনের কার্যক্রম সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর করিম। উদ্বোধনী বক্তা ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক ও আমিনুল ইসলাম।
বেলা ১১টায় জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে সম্মেলন শুরু হয়। উদ্বোধনের পর সাংগঠনিক প্রতিবেদন ও শোক প্রস্তাব পেশ করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন। প্রায় আট বছর পর এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো। সর্বশেষ জেলা সম্মেলন হয়েছিল ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর।
তারেক রহমানের বক্তব্য তারেক রহমান বলেন, “জনগণ যা সমর্থন করে তার বাইরে কোনো পথ বিএনপি অনুসরণ করবে না। অন্তর্বর্তী সরকারে বিএনপির মতামত জনগণের ওপর নির্ভর করবে। সিদ্ধান্তের দায়িত্ব জনগণের হাতে ছেড়ে দিন।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা আড়াই বছর আগেই দেশ পরিচালনার রূপরেখা প্রকাশ করেছি। অনেকেই মনে করেন নির্বাচন সহজ হবে, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। যতক্ষণ পর্যন্ত গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত না হবে, বিএনপির আন্দোলন চলবে।”
অন্যান্য নেতাদের বক্তব্য উদ্বোধনী বক্তৃতায় মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি মিডিয়ার স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থায় বাংলাদেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাই বিএনপি ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দেশের নতুন রূপরেখা গড়তে।”
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, নির্বাচন হলে বিএনপি জয়লাভ করবে এবং প্রধানমন্ত্রী হবেন তারেক রহমান। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারকে কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেন।
নেতৃত্ব ঘোষণা সম্মেলনের শেষে কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে মির্জা ফয়সল আমিনকে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি এবং পয়গাম আলীকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়।











