ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে কথিত মার্কিন হামলার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া বেশ কিছু নাটকীয় ভিডিও ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে। ডয়চে ভেলের ফ্যাক্টচেক টিম এসব ভিডিও যাচাই করে নিশ্চিত করেছে, বেশিরভাগ ভিডিওই ডিজিটালি তৈরি বা আগের কোনো ঘটনার সঙ্গে যুক্ত।
২১ জুন ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ নামে মার্কিন বি-টু স্পিরিট বোমারু বিমান ইসরায়েলের বাহিনীর সঙ্গে ইরানের ফোর্দো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহানে বাঙ্কার বিধ্বংসী বোমা হামলা চালায় বলে দাবি ওঠে। হামলার প্রতিশোধে ইরান ২৩ জুন কাতারের মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে।
এ ঘটনার পর টিকটক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন মাধ্যমে বিস্ফোরণ ও ধোঁয়ার ভিডিও ছড়ানো হয়, যা হামলার দৃশ্য বলে প্রচার করা হয়। অনুসন্ধানে দেখা যায়, এসবের মধ্যে অনেক ভিডিওই এআই দিয়ে তৈরি, আবার কিছু ভিডিও ইন্দোনেশিয়ার আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পুরনো ফুটেজ।
একটি ভাইরাল ভিডিওতে মার্কিন বি-টু বিমান ভূপাতিত হওয়ার দাবি করা হলেও সেটিও মিথ্যা। পেন্টাগন জানিয়েছে, সব বিমানই নিরাপদে ফিরে গেছে।
ফ্যাক্টচেক টিমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভুয়া ভিডিও ছড়িয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে, তাই সত্য যাচাই ছাড়া বিশ্বাস না করার আহ্বান জানানো হয়েছে।